যদি বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকা দেশ কোনটি তাহলে তার উত্তর নাউরু। যা একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এই দেশ সম্পর্কে একটি প্রবাদ রয়েছে
“This is the country that ate itself.”
এমন একটি প্রবাদের পিছনে কি কারণ রয়েছে তা এইবার জানা যাক।
প্রশান্ত মহাসাগর বেষ্টিত এই দ্বীপ রাষ্ট্র অনেক বছর ধরে পাখির দখলে ছিল। মানুষ তেমন একটা বাস করত না। পাখির রাজত্ব যেহেতু ছিল তাই তাদের বিষ্ঠা থাকাও স্বাভাবিক। আবার বৃষ্টি কম হতো আর এই কারণে বিষ্ঠা বছরের বছর পড়ে থেকে Guano সারে,পাথরে পরিণত হয়। সার,পাথরে ফরফরাস থাকে।
ফরফরাস ফুড প্রসেসিং,ফার্মাসিটিক্যাল,কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিকস কাজে ব্যবহৃত হয়। দ্বীপ রাষ্ট্রটি জার্মানির অধীনে ছিল। ১৯০১ সালে ফসফেট সমৃদ্ধ দেশ নজরে আসে বিশ্বের অর্ধেক রাষ্ট্র দখলকারী ব্রিটেনের। ১৯০৬ সালে জার্মানির সাথে ব্রিটেন একটি ব্যবসা চুক্তি স্থাপন করে।
১ম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেয়া এই দেশকে Offshore Mushing site হিসেবে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ১৯২০ সাল হতে ২ লাখ মেট্রিক টন প্রতিবছর ফসফেটের ব্যবসা হতো। দুই দশকের মধ্যে এটি ৪ গুণ বৃদ্ধি পায়। অস্ট্রেয়া, নিউজিল্যান্ড, Ally of Great Britain এর কাছে কম দামে এটি বিক্রি করা হতো।
২য় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের দখলে এটির ফসফেট বাইনডিং বন্ধ থাকে কিছু সময়। তারপর জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে আবার উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে এই রাষ্ট্র স্বাধীন হয়। আস্তে আস্তে তাদের উৎপাদন ৩৫ মিলিয়ন হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালে ১ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারস উৎপাদন হয়। যা এই দেশকে বিশ্বের ২য় GDP দেশ করে দেয়।
দেশের সরকার ট্যাক্স নেয়া বন্ধ করে দেয় কারণ দেশের জনসংখ্যা কম ছিল এবং সে তুলনায় অনেক ছিল উৎপাদন। দেশের জনগণ বিলাসবহুল জীবনযাপন শুরু করে। তারা কাজও করতে চায় না তাই চায়না হতে শ্রমিক যেয়ে তাদের রাষ্ট্রে কাজ করত। এমন অলস জীবনযাপনের জন্য তারা স্থূলকা হয়ে যায়।
১৯৮০ দিকে এই রাষ্ট্রের সম্পদের পরিমাণ কমতে থাকে। ২০০১ সালে ১ লাখ ৫৯২ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়। দীর্ঘ সময় ধরে নাউরুর ভূমিতে খননের ফলে ভূমি সব চাষেরও অযোগ্য হয়ে যায়। অন্যদিকে তারা আবার সব খাদ্য দেশের বাইরে হতে আমদানি করত।
তাহলে নাউরু সম্পর্কে যে প্রবাদটি ছিল সেটি সত্যই আসলে। এই দেশের মানুষ আস্তে আস্তে তাদের কারণেই চাঁদ হতে মাটিতে পড়েছে।
To get more blogs like this, click here.
Rumman Bente Razzaque,
Intern
Content writing Department
YSSE