যে মোটিভেশান আপনার জীবন বদলে দেবে। 

 

কোনো একটি মোটিভেশনাল ভিডিও বা অডিওর রেশ কতদিন থাকে বলুন তো? তিনদিন,  পাঁচদিন,  এক সপ্তাহ নাকি আরও কম? 

 

“অনুপ্রেরণা বা মোটিভেশান  হলো সেই আকাঙ্খা বা শক্তি যা মানুষকে কোনো কিছু অর্জন করার জন্য 

কাজ করার ইচ্ছা বা উ‌ৎসাহ প্রদান করে”। 

 

খুব সাধারণ একটা উদাহরণ দেয়া যাক, আমাদের ক্ষুধা লাগে বলে আমরা খাবার যোগাড় করি। খাবার যোগাড় করতে আমাদের কাজ করতে হয়। তার মানে, ক্ষুধা হল খাবার যোগাড় করার পেছনে একটি প্রধান অনুপ্রেরণা।

 

আবার ধরুন রেস্টুরেন্টের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বিরিয়ানীর ঘ্রাণ নাকে আসলে আমাদের তা খেতে ইচ্ছে হয়। অনেকেই বাসায় খাবার রেডি আছে জেনেও রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়েন, অথবা বাড়ি ফেরার পথ না ধরে বাজারের দিকে যান বিরিয়ানীর সরঞ্জাম কেনার জন্য। বিরিয়ানীর ঘ্রাণ এখানে মোটিভেশন বা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।

 আবার ধরুন শীতের কোন এক ভয়াবহ ঠান্ডার রাতে আপনি বাইরে আছেন। এখন শীতের প্রকোপ হতে নিজেকে বাঁচাতে আপনি আগুন জ্বালাতে চান। এখন আগুন জ্বালাতে হলে আপনার অবশ্যই জ্বালানি হিসেবে কাঠের টুকরো লাগবে। অবশেষে আপনি কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালালেন এবং নিজেকে উষ্ণ করলেন। 

 

এখানে, শীত হতে বাঁচতে চাওয়াটা হচ্ছে আপনার লক্ষ্য। আগুন হচ্ছে আপনার মোটিভেশান যা আপনাকে ক্রমাগত উষ্ণ থাকতে সহযোগিতা করছে এবং পরিশেষে কাঠের টুকরোগুলো হলো আপনার ইন্সপিরেশন।

   

তবে জীবনে চলার পথে সবসময় যে মোটিভেশান আপনার জন্য সুফল বয়ে আনবে তা কিন্তু নয়। অনেক সময় মোটিভেশন হয়ে উঠতে পারে হতাশা তৈরি হবার ক্ষেত্র।  আর তাই বলা হয়ে থাকে কোনো মোটিভেশান অনুসরণ না করে নিজের লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই হলো বুদ্ধিমানের কাজ।  যেমন ধরুন আপনি কোনো একজন সফল মানুষের বক্তৃতা শুনলেন।  শুনলেন তার জীবনে তিনি কোন কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এবং কিভাবে সেগুলো পার করে এসেছেন।  এখন আমার মনে হতে পারে ” আমার জীবনে এই ঘটনা ঘটার সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো।  কারণ আমি জানি কি করতে হবে। ”  কিন্তু ওই বিশিষ্ট ব্যক্তির মতো একই পরিস্থিতি আপনার সামনেও আসবে তার নিশ্চয়তা কতটুকু? 

 

আর আমরা ঠিক এই জায়গাতেই ভুল করে বসি। নিজের পরিস্থিতিকে আরেক জনের পরিস্থিতির সাথে মিলিয়ে এর সমাধান করতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও নেতিবাচক করে ফেলি।  আর তাই আমাদের করণীয় হলো অন্যের মুখনিঃসৃত কোনো মোটিভেশান অনুসরণ না করা।  আসুন আপনাকে আপনার কিছু গুণের সান্নিধ্যে নিয়ে যাই –

 

  • আপনি নিজের যত্ন নেন।
  • অন্যের কোনো কথায় কান দেন না। 
  • সবসময় নিজেকে নিয়ে ভাবেন। 
  • সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে নিজেকে একটু সময় দেয়ার চেষ্টা করেন।  
  • সব পরিস্থিতিতে আপনি ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেন। 
  • অন্যকে সাহায্য করেন,  অন্যের মতামতের প্রতি সহনশীলতা পরিদর্শন করেন।  

 

এ-ই তো আপনি নিজেই স্বয়ং সম্পূর্ণ।  আপনার আর কোনো আনুষঙ্গিক মোটিভেশানের প্রয়োজন নেই।  

একমাত্র নিজেকে অনুসরণ করুন,  এটাই আপনার জন্য একমাত্র মোটিভেশান যা আপনার জীবনকে বদলে দিতে সক্ষম।  

আরও ব্লগ পরতে এখানে #ক্লিক করুন। 

 

Writer 

Lutfur Nahar 

Intern, Content Writing  Department

YSSE