আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী। রসালো ফলের সাথে রয়েছে এখানে কিছু দর্শনীয় স্থানসমূহ।
>বরেন্দ্র জাদুঘরঃ এটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জাদুঘর। এখানে রয়েছে অনেক প্রত্ত্বতত্ত্ব বস্তুর সমাহার।
>বাঘা মসজিদঃ এটি রাজশাহী শহর হতে ৪০ কি.মি দূরে বাঘা জেলায়।প্রাচীন এই মসজিদটি দর্শকদের অন্যতম আকর্ষন।
>পুঠিয়া রাজপ্রাসাদঃ রাজ-নাটোর সড়ক হতে ১ কি.মি দূরে এই প্রাসাদটি অবস্থিত। প্রাচীন সৌন্দর্যে ঘেরা এই প্রাসাদটি বর্তমানে তার সৌন্দর্য দিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করছে। রাজশাহীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান এটি।
>হাওয়াখানাঃ পুঠিয়া উপজেলা সদরের রাজপ্রাসাদ থেকে তিন কিলোমিটার এবং পুঠিয়া বাজার থেকে ৩ কি.মি পশ্চিমে তারাপুর গ্রামে হাওয়াখানাটি অবস্থিত। একটি বিশাল পুকুরের মধ্যে এই দ্বিতল ভবনটি অবস্থান করছে। এক দিঘির মধ্যখানে অবসর বিনোদনের জন্য নির্মিত হয়েছিল।
>রাজশাহী রেশম কারখানাঃ রাজশাহী শহরে প্রবেশের পথেই এটি অবস্থিত। রেশম কারখানার ভেতরে চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত সবুজের সৌন্দর্য। বিশাল জায়গা জুড়ে বাগান। সেখানে সারি সারি তুঁত গাছ। গাছগুলোর উচ্চতা বেশি নয়, আট থেকে বারো ফুট হতে পারে। কিছু বড় গাছও আছে, সেগুলো বিভিন্ন ফল আর কাঠের গাছ।
রাজশাহী শহরের মধ্যে রয়েছে মনোরম সৌন্দর্যে ঘেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ করে আপনি যদি ছবি তুলতে বেশি পছন্দ করেন তাহলে রাবির চারুকলা অনুষদ আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। পাশেই রয়েছে রুয়েট ক্যাম্পাস। রুয়েটে রয়েছে শান্ত, কম কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী।নদীর কোল ঘেষে রয়েছে আই-বাঁধ, টি-বাঁধ, পদ্মা গার্ডেনের মতো দর্শনীয় স্থান। তাছাড়া “নোঙর “ও অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
এ শহর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে শহরের পথ-ঘাটে সুসজ্জিত বাতি দ্বারা। রাতে আপনি হাঁটতে বেড়িয়ে পড়তে পারেন এই সুসজ্জিত আলোর পথ ধরে। সিএন্ডবির রাস্তাও মনে রাখার মতো একটি স্থান।
এতো ঘুরেফিরে এখন নিশ্চ্য় ক্লান্ত। এখন চলুন বিখ্যাত খাবারের স্থানসমূহে যাওয়া যাক।
>সিএন্ডবির গরম গরম মিষ্টি
>নওহাটা, সিটি হাটের কালাভুনা
>তালাইমারি, সাহেববাজারের কালাইরুটি
>বাটারমোড়ের জিলাপি
>স্ট্রিট ফুডে বট পরোটা
>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের “লেবুর পিনিক, ভাংচুর “
>আলুপট্টি, সাহেববাজারের মোড়ে বিকেল থেকে বিভিন্ন চপজাতীয় খাবার
>আর রাজশাহীর “আম” তো আছেই
তাহলে আর দেরী কিসের? ব্যাগ প্যাক করুন আর দৌড় দিন দর্শনীয় স্থানসমূহে।
To get more blogs like this, click here.
Written by,
Rumman Bente Razzaque
Intern
Content writing Department
YSSE