অ্যামাজন জঙ্গল কিংবা আমাজন ফিল্মের মতো  আরও একটি সুপরিচিত নাম হলো আমাজন কোম্পানি। জেফ বেজোসের হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে ১৯৯৪ এর ৫ জুলাই থেকে এই কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।

 ১৯৯৪ সালে চাকরিকালীন সময়ে নতুন একটি প্রজেক্টের জন্যে জেফ বেজস ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয়ের পরিসংখ্যান অনুসন্ধান করেন। সেখানে

তিনি দেখেন, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ব্যবহার প্রতিমাসে প্রায় ২৩০০ শতাংশ বেড়ে চলেছে। ঠিক তখনই জেফের অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ উঁকি দিতে শুরু করে । তখন তিনি  চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠায় চাকুরী ছাড়ার পর তিনি নিউইয়র্ক থেকে সিয়েটলে চলে যান। মূলত তিনি সিয়েটল থেকে ই-কমার্স সাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেন। 

অ্যামাজনের পরিকল্পনা তৈরীর ক্ষেত্রে অনলাইনে বিক্রির উপযোগী প্রায় ২০ ধরনের প্রোডাক্টের লিস্ট তৈরি করেন। এর মধ্যে সিডি, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার সহ নানান প্রোডাক্ট ছিলো। তবে এগুলোর মধ্যে থেকে তিনি অনলাইনে বই বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কারণ  অ্যামাজনকে একটি অনলাইন বুক স্টোর হিসেবে তৈরী করতে চেয়েছিলেন। যেটি তার শখ ছিল।

পাশাপাশি আরেকটি কারণ হলো – আমেরিকান সরকার তৎকালীন সময়ে কোন ক্যাটালগ অভ্যন্তরীণ মেইল-অর্ডারের মাধ্যমে পাঠানোর ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দেয়। ফলে জেফ কোন প্রোডাক্ট বিক্রেতার কাছে পাঠালে তাকে কোন ট্যাক্স দিতে হবে না।

ভাবা যায়, অ্যামাজনের কাজ শুরু হয় তার বাড়ির গ্যারেজ থেকে। বড় বড় উদ্যোগ এমন গহীন কোণ থেকেই তৈরি হয়ে অনেক বড় দৃশ্যমান বস্তুতে পরিণত হয়।

উদ্যোগ নেওয়া যতটা সহজ এর মূলধন সংগ্রহ করাটা তেমনই মাথা ঘামানো কাজ। জেফ বেজোস  পরদেশের চাচারও পুরো মূলধন ছিলো না। এখন উপায় কি তাহলে? 

পরিচিত মানুষকে হাত করার চেষ্টা। তাই তিনি পরিচিত সবার কাছে থেকে ফান্ডিং শুরু করেন।

অ্যামাজনের ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন জেফের বাবা মাইক বেজস ও মা জ্যাকলিন বেজস। তাদের রিটায়ার্ডমেন্টের ৩ লাখ ডলার তারা অ্যামজনে লগ্নি করেন।

যাইহোক সবার সহযোগিতায়, ১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে আমাজনের যাত্রা শুরু হয়। যেটি এখন ৯৫০ মিলিয়নে এসেছে। অ্যামাজন কিন্তু  প্রথমে “ক্যাডাব্রা” নামে যাত্রা শুরু করে। যার অর্থ “মরদেহ”এটি জানার পর তিনি এই নামটিকে বাদ দিয়ে দেন। এছাড়াও “স্টারটেক” সিরিজের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিকল্প নাম হিসেবে  “aard.com” (আর্ড ডট কম) নামে সাইট লঞ্চ করতে চেয়েছিলেন। তাছাড়া   “রেলেন্টলেস” নামটি দিয়েও কাজ করেছেন।

 পরবর্তীতে তিনি ডিকশনারীতে A আদ্যক্ষরের নাম খুঁজতে গিয়ে অ্যামাজন শব্দটি পেয়ে যান। শব্দটি প্রথমেই নজর কাড়ে বানানগত কারণে। কেননা AMAZON বানান A থেকে Z কে প্রতিনিধিত্ব করে।

অ্যামজন ডট কম নাম হিসেবে বেছে নিলেও Awake.com, Browse.com, Bookmall.com, and Relentless.com নামে কয়েকটি ডোমেন রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন।

সাইট লঞ্চের পর, সাইটকে বিভিন্ন প্লাটফর্মে টেস্ট করার জন্যে তারা ৩০০জন কর্মীকে নিযুক্ত করেন। ১৬ জুলাই ১৯৯৫ সালে অ্যামাজন ডট কম চালু হলে তারা এই ৩০০ জন কর্মীকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যেতে বলেন।

সে বছরের সেপ্টেম্বরে  তাদের সাপ্তাহিক বিক্রির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ডলারে। অন্যদিকে, এ বছরই ক্লেইনের পারকিন্স কওফিল্ড অ্যান্ড বায়ার্স অ্যমাজনে ৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন। কিন্তু তখনো অ্যামাজন অনলাইন স্টোর হিসেবে পরিপূর্ণ ছিলো না।

এমন অবস্থায় জেফ বেজোস অ্যামাজনকে একজন  IPO-র মাধ্যমে সবার সামনে আনার পরিকল্পনা আনেন। এছাড়াও তিনি নতুন জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।

এর মধ্যে ছিলেন কিছু ডেসকো কর্মকর্তা, বার্নেস অ্যান্ড নোবেল থেকে কার্যনির্বাহী, সফটওয়্যার কোম্পানি সিমেনটেক থেকে কর্মকর্তা, মাইক্রোসফট থেকে দুইজন – প্রকৌশল বিভাগের সহ-সভাপতি জোয়েল স্পিজেল এবং ডেভিড রিশার।

এদের মধ্যে ডেভিড রিশার পরবর্তীতে বিক্রয় বিভাগের প্রধান হয়েছিলেন।

এমন একটি অসাধারণ টিম নিয়ে জেফ তার কোম্পানিকে সামনে উড়ে উড়ে এগিয়ে নিয়ে যান। 

 

জেফ বেজসের সংগ্রামী জীবন 

অ্যামাজনের এই সফলতার কারণে বার্নেস অ্যান্ড নোবেলের মালিক লিওনার্দো রিগিও এবং স্টিভ রিগিও জেফের সাথে ব্যবসা একীভূত করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু জেফ এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। এসময় বার্নেস অ্যান্ড নোবেলের মালিকদ্বয় আগ্রাসী হয়ে যান।

তারা জেফকে বলেন তারাও একটি অনলাইন বুকস্টোর তৈরী করতে চাচ্ছেন। তারা আরো বলেন অ্যামাজন তখন পিছিয়ে পড়তে পারে। কেননা ১৯৯৬ সালের অ্যামাজনের বিক্রির পরিমাণ ছিলো ১৬ মিলিয়ন ডলার আর বার্নেস অ্যান্ড নোবেলের বিক্রির পরিমাণ ছিলো ২ বিলিয়ন ডলার।

এমন হুমকির মুখেও জেফ তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নি। বরঞ্চ যখন রিগিও ব্রাদার্স তাদের ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করছিল তখন জেফ ও অ্যামাজনের সিএফও জয় কভে আমেরিকা ও ইউরোপে ভ্রমণ করে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজছিলেন।

এসময় অনেক বিনিয়োগকারী তাকে বইয়ের বাইরে অন্যান্য প্রোডাক্ট বিক্রির পরামর্শ দেন।

তৎকালীন সময়ে অ্যামাজনের প্রোডাক্ট লাইন ছিলো “Earth’s Largest Bookstore” অ্যামাজনের এই পরিচয় বিভ্রান্তিমূলক দাবি করে বার্নেস অ্যান্ড নোবেল ১২ই মে, ১৯৯৭ সালে ফেডেরাল কোর্টে মামলা করেন।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মামলার সকল রায় অ্যামাজনের বিপক্ষে যাচ্ছিল। তখন জেফ প্রোডাক্ট লাইনকে পরিবর্তন করে “Books, Music and More” দেন। অন্যদিকে, প্রোডাক্ট লাইন পরিবর্তন করার ফলে অ্যামাজন বইয়ের পাশাপাশি মিউজিক বাজারেও প্রবেশ করে ফেলে। এখন গান শুনতে শুনতে বই পড়ার ব্যবস্থা অ্যামাজন এনেছিল।

 

অ্যামাজনের সংগ্রাম 

১৯৯৭ সাল ছিলো অ্যামাজনের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। এবছর আমাজনের প্রায় তিন মিলিয়ন শেয়ার বাজারে আটকা পড়ে। ক্ষতি লাঘব করতে এ বছর দুইমাসের জন্যে অ্যামাজন পাবলিক ফান্ড করার জন্যে কাজ করে। জেফ বেজোস এবারও সফলভাবে ফান্ডিং করেন।

এরপর ১৯৯৮ সালের বড়দিনে জেফ অ্যামাজনে সাময়িকভাবে গিফট ও খেলনা কেনার সুবিধা যোগ করেন। এছাড়া এ বছরই তিনি অনলাইন রিটেইলারদের কমিশনের ব্যবস্থা করেন। এ বছর অ্যামাজন প্ল্যানেটঅল, বুকপেজেস সহ তিনটি কোম্পানি অধিগ্রহণ করে।

এটি অ্যামাজনের প্রথম অধিগ্রহণ ছিলো। তারপর ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৯ বছরে অ্যামাজনের অধিগ্রহণ করা কোম্পানির সংখ্যা ৪৪টি।

পরবর্তী বছর ১৯৯৯ সালে অ্যামাজন ১৫০ বিলিয়ন মূল্যের ওষুধ বাজারে প্রবেশ করে। এসময় অ্যামাজন ড্রাগস্টোর ডট কমের একটি শেয়ার কেনে।

সেসময় অনলাইন অকশন ভালো জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল। ইবে ও ইউবিডের মত অ্যামাজন সোদাবিজ হোল্ডিংয়ের সাথে যুক্ত হয়ে সোদাবিজ ডট অ্যামাজন ডট কম নামের একটি নিলামের সাইট চালু করে। এর ঠিক একমাস পরে, খেলনা ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যকে অ্যামাজনে আনা হয়।

এবছর অ্যামাজন ১.২৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। টাইমস ম্যাগাজিন তখন জেফ বেযোসকে পারসন অফ দ্যা ইয়ার হিসেবে অভিহিত করে।

 জেফ বেজোস অ্যামাজনে ওয়ান ক্লিক অর্ডার প্রসেস যুক্ত করেন।

এর ফলে ক্রেতারা তাদের ক্রেডিট কার্ড, ঠিকানা দিয়ে সহজে কেনাকাটা করতে পারবেন।

 

পারসন অফ দ্যা ইয়ার

২০০২ সালে ল্যান্ডস এন্ড, নর্ডট্রম এবং দ্যা গাপের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অ্যামাজন  পোষাক বাজারে প্রবেশ করে। এ বছর থেকে অ্যামাজনের প্রোডাক্ট সংখ্যা বাড়তে থাকে।

২০০৩ সাল শেষ হতে হতে প্রায় ৩০০ হাজার ব্র্যান্ড অ্যামাজনে যুক্ত হয়। সে বছর অ্যামাজন A9 চালু করেন। A9 মূলত একটি ই-কমার্স ভিত্তিক একটি বাণিজ্যিক সার্চ ইঞ্জিন। পরের কয়েক বছরে অ্যামাজনের ব্যবসা ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানী, কানাডা, জাপানসহ উন্নয়নশীল দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের মধ্যে ছিলো স্টোরেজ, ডাটাবেজ, অ্যানালাইটিকস, অ্যালেক্সা, টুইচ, যাপোস সহ আরো অনেক সার্ভিস। ২০১২ সালে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস থেকে “অ্যামাজন স্টুডিওস” যাত্রা শুরু করে। ফিচার ফিল্ম ও টিভি শো তৈরী করা – এই স্টুডিওর মূল লক্ষ্য।

বই পড়ুয়া মানুষদের জন্যে ২০০৭ সালে অ্যামাজন কিন্ডলে বাজারে নিয়ে আসে। জেফ বেজোস অ্যামাজনের শুরু থেকেই বই পড়া কিংবা বই বাজারে আনার ব্যাপারে যে আধুনিকায়ন করতে চেয়েছিলেন এটি তার একটি ফসল।

অ্যামাজন কিন্ডলে বাজারে আসার কিছুদিনের মধ্যেই ভালো সাড়া ফেলে। বই পাগল মানুষেরা নতুন এই সংযোজন লুফে নেয়। যার ধারাবাহিকতা এই রিডিং ডিভাইসটি ২০১০ সাল পর্যন্ত আমেরিকার ৯৫ শতাংশ বাজার দখলে রেখেছিলো।

 

অ্যাপল এবং অ্যামাজন 

২০১০ এ অ্যাপল আইপ্যাড বাজারে আনলে কিন্ডলের ব্যবসায় কিছুটা ধস নামে। তখন জেফ বেজোস এর মূল্য হ্রাস করেন এবং বাড়তি সুবিধা যুক্ত করেন। ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যামাজন প্রিন্টেড বইয়ের চেয়ে ই-বুক বেশি বিক্রি করে।

এরপর ২০১১ সালে অ্যামাজন “কিন্ডেল ফায়ার” বাজারজাত করে সরাসরি অ্যাপেলের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে। এরপর থেকে অ্যামাজনের আর পিছে ফিরে তাকাতে হয় নি।

২০১১-২০১৫ সালের মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে এই প্রতিষ্ঠানটির আর প্রায় দেড় গুণ বেড়ে যায়।  ২০১৩ সালে জেফ অ্যামাজন প্রাইম নামে একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই সেবার আওতায় ড্রোনের মাধ্যমে পাঁচ পাউন্ডের কোন পন্যকে সর্বোচ্চ দশ মাইল দূরে ক্রেতার কাছে পাঠানো সম্ভব।

 

মুসলিম স্বর্ণেরযুগের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ইবনে সিনার জীবনী

২০১৫ সালে সিয়েটলে অ্যামাজন প্রথম বুক শপ চালু করে। এখন ২০১৮ সালে এসে বিশ্বব্যাপী অনলাইন শপিংয়ের কথা উঠলে অ্যামাজনের নামটি প্রথমে চলে আসে।

জেফ বেজোসের সিয়েটলের গ্যারেজ থেকে শুরু এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কর্মী সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি। এই ই-কর্মাস জায়েন্ট বর্তমানে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পন্য বিক্রি করে বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করছে।

জেফ বেজোস অ্যামাজনের বাইরেও অ্যারোস্পেস ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করা ব্লু অরিজিন তারই একটি উদাহরণ। বর্তমানে সিয়েটেলের বাইরে প্রায় ২৬ একর জায়গা নিয়ে এটির একাডেমী স্থাপন করা হয়েছে।

পশ্চিম টেক্সাসে রকেট উড্ডয়নের জন্যে ব্যক্তিগত জায়গা রয়েছে। ২০১৫ সালে কক্ষপথে রকেটের সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করে এটি আলোচনায় আসে। এটি এখন পর্যন্ত ১৪টি সফল পরীক্ষামূলক যাত্রা সফলভাবে পরিচালনা করতে পেরেছে।

এছাড়াও তিনি দীর্ঘক্ষণ কর্মীদের সাথে কথা বলেন। বিভিন্ন প্রশ্ন উপাত্ত লিখে রাখেন। নিয়োগের ব্যাপারে তিনি সবসময় খেয়াল রাখেন যেন তার নতুন কর্মীরা আগের কর্মীদের থেকে বেশি দক্ষ হয়। এছাড়াও তিনি কর্মীদের আত্মবিশ্বাস যোগাতে অনেক ভালো ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

কাজের স্বীকৃতিসরূপ অনেক সম্মাননাও পেয়েছেন জেফ বেজোস। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ফোর্বস ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা দেয়।

 ২০০৮ সালে কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটি থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ইউ এস নিউজ অ্যান্ড রিপোর্ট তাকে আমেরিকার “বেস্ট লিডার” হিসেবে অ্যাখ্যা দেয়। ২০১১ সালে  “দ্যা ইকোনোমিস্ট” তাকে অ্যামাজন কিন্ডলের জন্যে ইনোভেশন এ্যাওয়ার্ড দেয়। একই বছর ফরচুন ম্যাগাজিন তাকে বিজনেস পার্সন ওফ দ্যা ইয়ার ঘোষণা করে।

 ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে তার বর্তমান সম্পদের মূল্য এখন ১০৫.১ বিলিয়ন ডলার। উদ্যোগীদের জন্য অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। লেগে থাকার মাধ্যমেই আমরা এক সময় না এক সময় আলোর নাগাল পাই।

 

To get more blogs like this, click here.

 

Writer,

Rumman Bente Razzaque,

Intern, Content writing Department

YSSE