টাইটেল দেখেই ধারণা করে নিয়েন না যে ফেয়ারনেস ক্রিমের প্রচারণা করছি। ফেয়ারনেস ক্রিমের আড়ালে আছে
সমাজের এক “ট্যাবু”। ফর্সা শব্দটি বিশ্বে খুব আকর্ষনীয় একটি শব্দ। ফর্সা রঙের সাথে সৌন্দর্য যুক্ত বলে ধরে
নেয়া হয়। ভারতীয় ব্যান্ডের ত্বকের রং ফর্সাকারী ক্রিম “ফেয়ার এন্ড লাভলী”। নামের মাধ্যমেই যারা বোঝেতে
চাচ্ছে ফর্সা সৌন্দর্যের প্রতীক।

১৯১৯ সালে সর্বপ্রথম ইএস পাঠানওয়ালা ফেয়ারনেস ক্রিমের উৎপাদন শুরু করেন।যার নাম দেয়া হয়
আফগান স্নো। পরবর্তীতে বিশ্বে বিভিন্ন ফেয়ারনেস ক্রিমের উৎপাদন দিনদিন বাড়তে থাকে।

ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে দেখলে দেখা যায়, শ্বেতাঙ্গরাই শাসন বেশি করে এসেছে বিভিন্ন দেশে । কৃষনাঙ্গদের
দাস বানিয়েছে। নেলসন মান্ডেলা সহ আরও অনেকে এই বর্ণবার্ণদের প্রতিবাদ করেছেন। আমাদের উপমহাদেশের
মানষু সংকরজাতি।যার কারণে বিভিন্ন রঙের সংমিশ্রণ রয়েছে।তবওু ফর্সা রঙ সমাদরপ্রাপ্ত রঙ।ব্রিটিশদের
শাসনের অবসান ঘটেছে তবে তাদের ধ্যান-ধারণার বীজ তারা আমাদের মধ্যে দিয়ে গেছে।
১৯৭৫ সালে BAND AID একটা পরিবর্তন আনে।তারা ত্বকের রঙের সাথে মিলে ব্যাণ্ডেজ় বিক্রি করা শুরু
করে। ২০ বছর ধরে ফেয়ারনেস ক্রিম “ফেয়ার এণ্ড লাভলী” বর্ণবাদর্ণ ধারণাটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা
করছে।“ব্লাক লিভ মাটারস” আন্দোলনের পর থেকে ফেয়ার এণ্ড লাভলী তাদের নাম পরিবর্তন করে গ্লো এণ্ড
লাভলী রাখে। অন্যদিকে Loreal জনপ্রিয় ব্যান্ডও রঙ ফর্সাকারী প্রসাধনী কথাটি সরিয়ে নেয়।
আমাদের দেশে ৮৪% মানষু ফর্সা মানেই সৌন্দর্য বিশ্বাস করে। ইন্টারনেটে ত্বক ফর্সাকারী প্রচারণা ভুরি
ভুরি।দেশে গর্ভবতী মহিলাদের দধু, হলদু আরও বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয় যাতে সন্তান
ফর্সা হয়। প্রসাধনীর প্রচারণায় দেখানো হয় ত্বকের রং ফর্সা না হয়ার কারণে সমাজে হেয় হচ্ছে,চাকরী পাচ্ছে
না,বিয়ে হচ্ছে না। তাহলে যে ধারণা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে শুরুমাত্র প্রসাধনীর নাম পরিবর্তনে
সেইটা চলে যাবে!

আসলে “Beauty is not slave of skin colour”। সবাই সুন্দর।

 

To get more content, click here.

 

Writer,

Rumman Bente Razzaque

Intern, Content Writing Department,

YSSE.