পৃথিবীতে নানা রকমের ফুল আছে।যার সব আমরা দেখিনি হয়ত তবে বাংলার মানুষ “কচুরিপানা ” বা আঞ্চলিক ভাষায় যাকে বলে “দল” সেইটা ঠিকই চেনে।
বন্য এই উদ্ভিদ ১৮’শ শতাব্দীর শেষভাগে এক ব্রাজিলীয় নাগরিক জর্জ মরগ্যান এদেশে নিয়ে আসেন। বাংলা একটি নদীমাতৃক দেশ। ১৯২০ সালের মধ্যে এই বিদেশি উদ্ভিদ বাংলার নদী-নালা, খাল-বিলে ভরে যায়।
তৎকালীন সময়ে যেহেতু নৌপথে যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল নদী। জলে প্রচুর কচুরিপানার ফলে নৌযান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল।তাছাড়া কচুরিপানা পুরো জলভাগ ডেকে ফেললে পানিতে ঠিকমতো অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। যা মৎসকুলের প্রাণ-সংকটের কারণ। তাই কচুরিপানা নিধনে সেসময় আইন প্রনয়ণ,গবেষণা পর্যন্ত হয়েছিল।
কিন্তু আমাজন এলাকার উদ্ভিদ কচুরিপানা আজও বাংলার জলভাগ দখল করে আছে।তবে যাকে “Terror of Bengal” বলা হতো সে কচুরিপানা এখন অনেক সম্ভাবনা তৈরি করছে।
কচুরিপানা দিয়ে বিভিন্ন হস্তশিল্প ও কাগজ তৈরি হচ্ছে।এসব পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপ,আমেরিকাতে
রপ্তানি হচ্ছে।বর্তমানে পাবনা জেলায় হস্তশিল্পের এই কাজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানা শুকিয়ে নিলে
তাতে ৭০% পটাশ পাওয়া যায়।ফলে এটি জৈব সারের একটি ভালো উৎস।নদীকেন্দ্রিক এলাকায় এখন কচুরিপানা সার হিসেবে ব্যবহারের সাথে সাথে কচুরিপানাতে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে।
আমাদের দেশ পোশাক খাতে বিশ্বে পরিচিত।পোশাক তৈরির মূল উপাদান সুতা।চমকপ্রদ একটি বিষয় হচ্ছে, কচুরিপানা দিয়েও সুতা তৈরি সম্ভব।আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
বর্তমানে কচুরিপানা থেকে উৎপাদিত সুতা দিয়ে শাড়ি, শার্ট তৈরি হচ্ছে।মাথা ব্যথার কারণ কচুরিপানা বর্তমানে বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে অনেককে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে তুলছে।সুতরাং সব সমস্যার সমাধান রয়েছে যদি আমরা চেষ্টা করি।তাই কচুরিপানাকে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করে দেশের অঅর্থনৈতিক খাতে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করা উচিত।
To get more content, click here.
Writer,
Rumman Bente Razzaque,
Intern, Content Writing Department,
YSSE.