অনলাইনে কাজ করে একটি ওয়েবসাইট থেকে আয় করাটা আজ অনেক সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, অনলাইনের জগতে আয় করার অনেক গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলি ব্যবহার করে আপনিও অনলাইনে নিয়মিত রোজগার করতে পারবেন। 

তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, অনলাইনে আয় করার ওয়েবসাইট গুলো কি কি এবং এগুলো ব্যবহার করে কিভাবে আয় করবেন। 

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এক্সট্রা আয়ের একটা স্থায়ী উৎস থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন কয়েকটি সেরা ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী অনলাইনে কাজ করেই একটি ভালো উপার্জনের সুযোগ পেয়ে যাবেন।

ডিজিটালমার্কেট হল একটি অনলাইন উপার্জনের সাইট। এখান থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত পরিষেবা গুলো পেয়ে বা দিয়ে থাকে। 

কাজের ধরণ :কোনো ধরনের তৃতীয় ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই এটি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সরাসরি সংযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

বিশেষত্ব :এখানে খুব সহজেই বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট, মার্কেটিং, ব্লগ, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি, এ সকল বিষয়ে খুব সহজেই অনলাইন কাজের সুযোগ ও পরিসেবাগুলো পাওয়া যায়।

আপনি ফটোগ্রাফিতে দক্ষ হলে সাটারস্টক হল আপনার জন্যে সেরা স্টক ফটোগ্রাফির ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটি। এটি যথেষ্ট পুরোনো, বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মধ্যে বহুলভাবে পরিচিত।

কাজের ধরণ :এখানে আপনি বিনামূল্যে ছবি আপলোড করতে পারেন। এটির সাথে কাজ করা বেশ সহজ আর সময়ের সাথে বেশ লাভজনকও বটে। আর, প্রতিটি ডাউনলোডের জন্য আপনার ফটোগুলো স্টক পায়। সেই অনুযায়ী আপনি একটি রয়্যালটি পান এবং এর থেকে আপনি উপার্জন করতে পারেন। 

বিশেষত্ব :এই ওয়েবসাইটটি আপনার সৃজনশীলতা গুরুত্ব দেয় ও প্রতিফলনে সুযোগ করে দেয়। কারণ এটি কপিরাইট নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। 

  • আপওয়ার্ক (Upwork) :

এটি হল মূলত একটি মিটিং সাইট। এখানে সারা বিশ্বের ব্যবসায়ীরা ও ফ্রিল্যান্সাররা কিছু নির্দিষ্ট প্রকল্পের কাজে সংযুক্ত হতে পারে। নানা ব্যবসাগুলো বিভিন্ন ধরণের পরিষেবার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করে। এই কাজের মধ্যে রয়েছে, ওয়েব ডিজাইনিং, এসইও ক্যাম্পাইনিং ও কম্পিউটারের নানান ধরণের কাজ।

কাজের ধরণ :এখানে ফ্রীলান্স ওয়ার্কারদের জন্যে নানান ধরণের কনটেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং ও সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত কাজের প্রজেক্ট অফার করা হয়ে থাকে।

বিশেষত্ব :এই ওয়েবসাইটটি আপনার কাজের বিনিময়ে (৫ – ২০)% পর্যন্ত কমিশন নিতে পারে। 

তবে, এখানে আপনি যত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন, কমিশনের পরিমাণ ততই কমতে থাকে।

  • ফাইভার (Fiverr) :

ডিজিটাল অ্যানিমেশন সম্পর্কে আপনার দক্ষতা থাকলে এই ফাইভার সাইটটি আপনার জন্যে অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। এটি ফ্রীলান্সারদের জন্যেও যথেষ্ট ভালো একটা ওয়েবসাইট। এখানে আপনি নগদ অর্থের বিনিময়ে অন্যের জন্যে ওয়েব রিসার্চ কম্পাইল করার কাজও করতে পারেন।

কাজের ধরণ :আপনি Fiverr প্রোফাইল ও বিবরণগুলো ভালভাবে তৈরী করার অপশন পাবেন।আপনি এখানে সরাসরি ক্লায়েন্টদের সাথে কথোপকথন করে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।

বিশেষত্ব :এখানে ফ্রীলান্সারদের নিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। খুব সুন্দরভাবে এখানে প্রোফাইল তৈরী ও হাইলাইট করা যায়। এখানে প্রায় ৫০০-এর ও বেশি কাজের জন্য এপ্লাই করা সম্ভব যা আপনার উপার্জনের দ্বারপ্রান্ত অতি সহজেই খুলে দেবে।

  • অ্যাটসি (Etsy)

অ্যাটসি হল অতি জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটি।

কাজের ধরণ :আপনি যদি শিল্পী হন বা আপনি কাস্টম গয়না তৈরী করেন বা বুটিক চালিয়ে থাকেন, তবে অ্যাটসি হল আপনার পণ্য বিক্রি করার সেরা অনলাইন মাধ্যম।

বিশেষত্ব :এই সাইটটি অনেকটাই সহজ। এখানে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ‌ভার্চুয়াল  দোকান সেট আপ করা যায়।

হয়তো আপনারা সবাই কম-বেশি এই গুগল অ্যাডসেন্স-এর কথা শুনে থাকবেন শুধুমাত্র আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকলেই আপনি সহজে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে কোনো প্রাথমিক বিনিয়োগ ছাড়াই ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

কাজের ধরণ :প্রধানত, এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম। যেটাতে আপনি বিনামূল্যে রেজিস্টার করতে পারেন। রেজিস্টার করা হয়ে গেলে আপনি একটি কোড পাবেন। এই কোডটিকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যোগ করতে পারেন। আপনার নিজের ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন বাছাই করতে  পারবেন। বিজ্ঞাপনটি ওয়েবপেজের কোথায় দেখতে চাইছেন, সেটাও নির্বাচন করতে পারবেন। টাকার হিসাবপত্র গুগল অ্যাডসেন্স নিজেই রাখে।

বিশেষত্ব :যেকোনো ওয়েবসাইট থাকলেই এটিকে সক্রিয় করা যায়। এখানে আপনাকে আলাদা করে কোনো টাকা দিতে হয় না।

তবে, প্রথমদিকে আপনাকে মেনে নিতে হবে যে, এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে চটজলদি লাভের আশা কখনোই করা যায় না। সেক্ষেত্রে, ধৈর্য রেখে আপনার নিজের একটা ভাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে ও এই ওয়েবসাইট গুলোতে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। 

সবসময় মনে রাখবেনএইসব ওয়েবসাইট গুলোতে অবশ্যই আপনাকে আপনার দক্ষতা ব্যবহার করেই অর্থ উপার্জন করতে হবে। সেই হিসাবে, আপনি যদি শুন্য থেকেও শুরু করেন, তবে আপনাকে টিকে থাকার জন্যে সময়ে সময়ে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। ধৈর্য রেখে এই ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের সময় ও পরিশ্রম ব্যয় করলে আপনি অবশ্যই সাফল্য পেতে পারেন।

আরও ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন



লেখিকা 

ফারিহা আলিফ

ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট 

YSSE