গল্প শুনতে কার না ভালো লাগে! আর কবিতা আবৃত্তি যেন সেই ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। এই কবিতা আমাদের বড় হতেও শেখায়। যান্ত্রিক জীবনের কর্মব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে অনেকেই হয়তো শব্দের মায়ায় হারিয়ে যেতে অনলাইনে আবৃত্তি বা গল্প শোনেন।

মো.আরাফাত ইসলাম, যিনি নিলয় নীল নামে পরিচিত, তিনি একজন জনপ্রিয় ভয়েস আর্টিস্ট। তার কণ্ঠস্বর যেন শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। তার আবৃত্তি ও গল্পের মাঝে যেন এক অপার মোহ থাকে।

 

আজকে সেই জনপ্রিয় ভয়েস আর্টিস্ট নিলয় নীল, YSSE এর সৌজন্য সাক্ষাৎকারে আমাদের সাথে যুক্ত আছেন। আজ আমরা তার সম্পর্কে ও তার কাজের ব্যাপারে বিস্তারিত জানবো

 

YSSE : প্রথমে আপনার সম্পর্কে জানতে চাই(আপনার জন্ম,বেড়েউঠা,পড়াশোনা)বর্তমানে কি কি কাজ করছেন? 

নিলয় নীল : আমার জন্ম গোপালগঞ্জ জেলায় কাশিয়ানি উপজেলার মহেশপুর গ্রামে। জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং স্কুল-কলেজের গণ্ডি মূলত গ্রামে পার করেছি। এরপর উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমি ভর্তি হই। সেখান থেকেই মূলত আমি আমার স্নাতক(Leather Products Engineering) এবং স্নাতকোত্তর(Leather Engineering) সম্পন্ন করেছি। আমার বিষয় ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং কিন্তু বর্তমানে আমি কাজ করছি সর্ম্পূণ ভিন্নধর্মী একটি প্ল্যাটফর্মে। Kabbik Audiobook and Podcast এ Key-Account Manager হিসেবে কর্মরত রয়েছি।

 

YSSE:  ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো চমৎকার একটা বিষয়ে পড়াশোনা করে, সেখান থেকে ভয়েজ আর্টিস্ট হওয়া,নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া পাশাপাশি গল্প লিখা এবং ভয়েজ ওভারের প্রিপারেশন — এতসকল কাজের মধ্যে ক্রমাগত জাগলিং এর সেই দিনগুলো কীভাবে কেটেছে আপনার ?

 

নিলয় নীল : আমি ভয়েজ ওভারের ক্যারিয়ারে স্পটলাইটে এক বছরের মত। কিন্তু লেখালেখির শুরু হয়েছিল যখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। তখন একটি ছড়া লেখার মাধ্যমে আমার লেখালেখির হাতেখড়ি। যেখানে আমার পরিবার আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয়, সাপোর্ট করে। পড়াশোনার পাশাপাশি ধরতে গেলে একটি শখের মতোই লেখালিখি শুরু হয়েছিল। ভয়েজ ওভারের ব্যাপারে কখনো ভয়েস আর্টিস্ট হব বলে চিন্তা ভাবনা ছিল না। ছোটবেলায় বিভিন্ন রেডিও অনুষ্ঠান শোনার মাধ্যমে নিজের মধ্যে একটি তীব্র বাসনা কাজ করেতো যে, বড় হয়ে আমি আর.জে হবো। আর এই ইচ্ছে থেকেই নিজের পড়াগুলো জোরে পড়া অথবা ফেসবুক লাইভে এসে ছোট ছোট লাইভ করা এসব দিয়ে আসলে আমার জার্নিটি শুরু হয়েছে।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে কাজ করাও আমার দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করেছে বলে মনে করি আমি।  

 

YSSEআপনার মধ্যে এক্স ফ্যাক্টর কি ছিল? যেটা আপনাকে প্রতিনিয়ত সামনে যাওয়ার অণুপ্রেরনা প্রদান করেছে? 

 

নিলয় নীল : যদি সাধারণ ভাবে বলতে হয় তাহলে আমি বলব Discrimination  বা বৈষম্যর কথা। আমার গায়ের রং শ্যাম বর্ণের। আর এই কারণে আমি ছোটবেলায় অনেক বুলিংয়ের শিকার হয়েছি।কালো হবার জন্য চারপাশের কিছু মানুষ আমকে অদ্ভুত কিছু নামে ডাকতো।আমার খুব খারাপ লাগতো তাই তখনি মনে মনে জিদ করতাম এমন কিছু করতে চাই যার জন্য অন্যেরা আমাকে যোগ্যতার পরিচয়ে গুরুত্ব দিবে।  এই সকল কারণেই বলবো নিজের একটি জেদের বশই হোক বা কিছু করে দেখানোর তাগিদ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই আমি আমার কাজে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। 

 

YSSE : আমাদের সমাজে মূলত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের বাইরে কোন চাকরি নেই বলেই ধরে নেয়া হয়। এইদিকে আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো একটি ক্যারিয়ার ছেড়ে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে চলা একজন মানুষ। এই বিষয়ে আপনি কোন সমালোচনা সম্মুখীন হয়েছিলেন কি? 

 

নিলয় নীল : “আমার অনেক কাছের মানুষই বলে আমি রাইট ট্র্যাকে নেই।”

সমালোচনার সম্মুখীন তখনও হয়েছি এমনকি এখনো হই।কিন্তু আমি আমার প্যাশন, আমার ভালোলাগাটাকে সবকিছুতে প্রাধান্য দিয়ে আসছি।কেননা আপনি যদি সঠিক পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার কাজে আপনি সফল হতে পারবেন।তাই আমি এই বিশ্বাস নিয়েই আমার স্ট্রেন্থ যেখানে আমি সেই দিক নিয়েই সামনে এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত ।

 

YSSEএকজন জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত লেখকও আপনি।কবে থেকে শুরু করেছিলেন এ লেখালেখি বা আপনার লেখালেখির পিছনে অনুপ্রেরণা কি ছিল? 

 

নিলয় নীল : আমার লেখালেখি শুরু হয়েছিল মূলত ২০০৫ সালে যখন আমি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। তখন বৈশাখ মাসের প্রচন্ড ঝড় বাদলের একটি দিনে প্রথম আমি একটি ছড়া লিখি। ছড়াটি ছিল এমন — 

“সেদিন ছিল ঝড়ের রাত 

আম কুড়াতাম টপাটপ 

বৈশাখী ঝড় ছিল সেদিন  

আম পড়তো ধপ ধপ 

মামা বাড়ির সবে মিলে 

ছুটতাম সেদিন আম কুড়াতে 

পাকা আম ভারি মজার 

রসে ভরা তরতাজা 

কাঁচা আমও ভারি মজা  

বিট লবনের সাথে মাখা।”

এছাড়াও আমি আরো বেশ কিছু ছোট কবিতা লিখেছি কিন্তু গল্প লিখা মূলত আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে থেকে শুরু হয়। 

 

YSSE : আপনার কোন লেখাটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ? 

 

নিলয় নীল :  আমার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত গল্পটি হল হ্যাকার  গল্পটি একজন হ্যাকার ও ক্যান্সার পেশেন্ট এক তরুণ মেয়ের গল্প।এছাড়াও আমার আরো কিছু গল্প রয়েছে — নোনতা লড়াই,পুরুষ দিবস,যে পুতুল মানুষ হতে পারত,টিউশনি,অতিরিক্ত সময় ছাড়াও আরো ৫০+ গল্প।

 

YSSE : আপনি আপনার কাজের মাধ্যমে সমাজের মূল ধারায় কোন পরিবর্তন নিয়ে আসতে পেরেছেন বলে মনে করেন কি? 

 

নিলয় নীল : নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগের বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে তেমন কোন পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারিনি এখনোও।আমরা যেহেতু অডিও বুক নিয়ে কাজ করি তাই সুদূর ভবিষ্যতে মানুষের চিন্তা মনণশীলতার জায়গা থেকে বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্যের উপাদান আরও সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা রয়েছে। এছাড়াও পথশিশুদের নিয়ে কাজ করার একটি ইচ্ছা রয়েছে। 

 

YSSE : এ কাজে আপনার নিজের অ্যাচিভমেন্ট কি কি?

 

নিলয় নীল : অ্যাচিভমেন্ট বলতে প্রথমে বলবো আমার কণ্ঠ কোটি কোটি শ্রোতার কাছে পৌঁছে গিয়েছে, যা আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। যারাই আমার কন্ঠ শুনেছে, তারাই আমাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেছে। মজার বিষয় হচ্ছে যে, আমার ভয়েস ওভারে জনপ্রিয় একটি ফেসবুক পেইজে একটা ফিকশনাল ক্যারেক্টার আছে”- যাকে সবাই ক্যামেরায় দেখতে চায় ও তাকে নিয়ে মজার মজার মন্তব্য করে । ভালো লাগে যে একটা ক্যারেক্টার যাকে আসলে মানুষজন সামনে  দেখেনি, কিন্তু কন্ঠটা শুনে আসলে তাকে সহজেই চিনতে পারছে। এটা আমার কাছে অনেক বড় একটা পাওয়া,যা আমাকে মানসিক তৃপ্তি দেয়। এছাড়াও সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে আমার কন্ঠ গিয়েছে, বড় বড় প্রোগ্রামে আমার কন্ঠে বিজ্ঞাপন চলেছে-যা আমাকে সামনে যাওয়ার আরো অনুপ্রেরণা যোগায়।  

 

YSSE : আপনার সফলতার পেছনে কাদের সহযোগিতার এর কথা আপনি উল্লেখ করতে চান?

 

নিলয় নীল : আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল আমার পরিবার ও পারিবারিক অটুট বন্ধন। আমার লেখনীতে বিভিন্ন ভুল-ত্রুটি, ভালো-মন্দ তারা আমাকে ধরিয়ে দিয়ে সাহায্য করতেন। তাই আমি আমার কাজে আমার পরিবারকেই বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই।

 

YSSE : আপনার এই সফলতার পেছনে প্রতিবন্ধকতা কি ছিল ?

 

নিলয় নীল : আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনে লেখালেখি সময়ে পরিবার থেকে একটু দূরে চলে আসা ও ছন্নছাড়া জীবনযাপন করা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একটি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া, যা আমার জীবন থেকে দেড় বছর সময় পিছিয়ে দিয়েছে, যার কারনে আমার কাজ লেখালেখি সবকিছু বন্ধ ছিল। বলতে গেলে তখন আত্মার মৃত্যু বা soul dead হয়ে ডিপ্রেশনে পড়ে যাওয়া। সেখান থেকে একটু একটু করে হেঁটে এই পর্যন্ত আশা।

 

YSSE : একজন আর্টিস্ট হিসেবে আপনি আপনার ভয়েস বা এক্সপ্রেশন কিভাবে মেইনটেইন করেন?কোন খাদ্যাভ্যাস,রুটিন বা ডায়েট বা আইকনিক আইডল ফলো করেন কি? 

 

নিলয় নীল : আমি যেহেতু কন্ঠ নিয়ে কাজ করি তো এটি একটি সেনসিটিভ বিষয় যা সাবধানতার সাথে সামঞ্জস্য করে করতে হয়। এর জন্য আমি যেটা করি সেটা হল মেডিকেল সাইন্স, ট্র্যাকিয়েস্টিক ব্যায়াম,উদারা-মুদারার একটি ব্যায়াম আছে,এই সব কিছুকে সুন্দরভাবে মেনটেন করি। এছাড়াও রঙ-চা আদা দিয়ে খাওয়াটাও আমাকে অনেক সাহায্য করে।তো প্রতিদিন নিয়ম করে এই চা আমি তিনবার পান করে থাকি। সত্যি বলতে সেভাবে আমি কাউকে ফলো করি না। কিন্তু আমি চেষ্টা করছি নিজের একটা স্টাইল ক্রিয়েট করার জন্য। 

 

YSSE : ভয়েজ আর্টিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য নতুনদের কি কি টিপস এন্ড ট্রিকস জানাবেন?  

 

নিলয় নীল : প্রথমেই বুঝতে হবে যে নিজের মধ্যে শিল্প-টা আছে কিনা!আমার উচ্চারণ গুলো সঠিক হচ্ছে কিনা,কথার মাধুর্যতা রয়েছে কিনা, আর্ট সায়েন্স বিষয়গুলো অন্তর্নিহিত আছে কিনা,যথা উপযুক্ত কন্ঠাভিনয় করতে পারা সেইসব নিয়ে চর্চা করা। এছাড়াও প্রচুর কনটেন্ট শোনা অথবা দেখা উচিত,যারা ফেলো-আর্টিস্ট রয়েছেন তাদের অনুকরণ নয় কিন্তু অনুসরণ করা উচিত। অর্থাৎ তাদের দেখা,শোনা,বোঝা বা শেখা, তারপর সেখানে নিজের সৃজনশীলতা দেখানো।  

 

YSSE : আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?নিজেকে পরর্বতীতে কোথায় দেখতে চান?

 

নিলয় নীল : শিল্পের দিক থেকে বলতে গেলে আমি লেখালেখিটাকে আবার সুন্দর করে শুরু করতে চাচ্ছি এবং আমি চাই আমার লেখার মাধ্যমে একটা impact create করবে যার মাধ্যমে দেশের মানুষের বিনোদন অঙ্গনের যে অপ্রাপ্তি , তা পূর্ণ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও নিজের বই প্রকাশের একটি ইচ্ছে রয়েছে। 

ফিন্যান্সিয়াল দিক চিন্তা থেকে করতে গেলে ভয়েস ওভারের জায়গাটা আপডেট করা,নিজের একটা প্রফেশনাল সেটআপ তৈরি, নিজের কন্টেন্টের মানোন্নয়ন করা। এছাড়াও বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানে আছি ( কাব্যিক অডিওবুক ও পডকাস্ট) সেই প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করণ।

 

YSSE : যদি কখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে আপনাকে ক্যারিয়ার সুইচ করতে হতে পারে, সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন? 

 

নিলয় নীল : হ্যাঁ, যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি হতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই Plan~B/C/D অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।অর্থাৎ সারভাইভ করার জন্য ধৈর্য সহকারে যেকোনো উপায়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে। 

 

YSSE : আপনার জীবন নিয়ে যদি একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়, তার শিরোনাম কী হবে এবং কেন? 

 

নিলয় নীল : “অদম্য” কারণ হিসেবে বলবো আমি আমার লাইফে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে নিজের এই স্ট্রাগলটাকেই সুন্দরভাবে করে যেতে চাই। 

 

YSSE : নিজের জীবন সম্পর্কে একটা Motto জানতে চাইলে, সেটা কি বলবেন?

 

নিলয় নীল : জীবন টা অন্যের সাথে প্রতিযোগিতার নয় বরং প্রতিযোগিতা হলে তা হোক নিজের সাথেই।”

আমার ফিলোসফি হচ্ছে“নিজেকে ছাপিয়ে যাও,প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলো।”

 

YSSE : যে তরুণরা আপনার মতো সফল হতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য কী থাকবে?

 

নিলয় নীল : নতুনদের মধ্যে শিক্ষার আগ্রহ থাকতে হবে। নিজেকে self inspiration,self motivation,নিজের সাথে নিজের যুদ্ধে দ্বন্দ্ব এড়াতে practice and practice করে যেতে হবে। 

 

YSSE : সবশেষে সকলের উদ্দেশ্যে  আপনার জীবন থেকে কোন লাইফ লেসন? 

 

নিলয় নীল : আমার একটাই লাইফ লেসন থাকবে যে ~ কাউকেই অন্ধভাবে বিশ্বাস না করা। 

 

ফেসবুক : https://www.facebook.com/neloy.nil

 

লিঙ্কডইন : https://shorturl.at/clR29

 

ই–মেইল : Arafat.islam5271@gmail.com

 

আমাদের Passion in every Pursuit ” ক্যাম্পেইনের  সাফল্যের গল্প এর পরবর্তী ব্লগ পড়তে, YSSE website এবং Facebook blog page এর সাথেই থাকুন। 

আমাদের আরো ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন।  

 

লেখক, 

ফারিহা আলিফ 

ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট

YSSE