ক্রিকেটের আইন মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃক প্রণীত একগুচ্ছ নিয়ম কানুন দ্বারা তৈরি হয়েছে।এর ফলে বিশ্বকাপ এই আইন অনুসৃত হয়।বর্তমানে ক্রিকেট আইন সংখ্যা ৪২।
এই আইন সমূহ হলো:
১. কীভাবে ব্যাটসম্যান আউট হবে।
২. কীভাবে খেলা শুরু হবে।
৩. জয়-পরাজয় কীভাবে নির্ধারণ করা হবে।
৪. পীচের অবস্থান।
৫. প্রস্তুত প্রণালী।
৬. ক্রিকেট এর জার্সি এর রং ইত্যাদি।
১৭৮৮ সাল থেকে এই ক্লাব দ্বায়িত্ব নেয় ক্রিকেট আইন প্রণয়নের কাজ।এর মাঝে নানা পরিবর্তন সহ নতুন আইন প্রণয়নের কাজ করে আসছে এই ক্রিকেটীয় আইন প্রণয়ন ক্লাব।
ইংল্যান্ডের লন্ডনভিত্তিক ব্যাক্তি মালিকানাধীন ক্লাবরূপে (এমসিসি) ক্রিকেটের আনুষ্ঠানিক পরিচলনা পরিষদ না হলেও এ ক্লাবটি খেলার আইনের যথার্থ ভূমিকা রেখেছে।শুধুমাত্র এই ক্লাবই আইন পরিবর্তনে সক্ষম।এছাড়া আইন সংরক্ষণ সহ নানা কাজ এই ক্লাব কর্তৃক পরিচালিত হয়।স্বল্পসংখ্যক খেলায় ক্রিকেটে নিয়ম-কানুন অথবা ধারা ব্যবহার না করে আইন প্রয়োগ করা হয়।পরবর্তীতে এই আইন আইসিসি এর ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিচালনার শর্তবলীরুপে প্রকাশ করা হয়।
এইবার আসি এই আইন সমূহের বিভিন্ন দিক নিয়ে।প্রথম চারটি আইনে :খেলোয়াড়, অতিরিক্ত খেলোয়াড়, আম্পায়ার ও স্কোয়ারের বিষয়ে তুলে ধরা হলো।
আইন ১: খেলোয়াড় : একটি ক্রিকেট দলে অধিনায়ক সহ এগারোজন খেলোয়াড় থাকবে। আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতার বাইরে দলগুলো আলোচনা করে এগারোজনের অধিক খেলোয়াড় অংশ নিতে পারবে। কিন্তু মাঠে কেবলমাত্র এগারোজন খেলোয়াড়ই অবস্থান করবেন
আইন:২ অতিরিক্ত খেলোয়াড় : আঘাতপ্রাপ্ত ফিল্ডারের পরিবর্তে একজন অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে মাঠে স্থলাভিষিক্ত করা যাবে। তবে তিনি ব্যাট, বল, উইকেট রক্ষক অথবা অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। যদি মূল খেলোয়াড় আরোগ্য লাভ করেন তাহলে তিনি মাঠে ফিরে আসতে পারবেন। ব্যাটসম্যান যদি দৌঁড়ে রান সংগ্রহ করতে অপারগ হন, তাহলে তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারবেন ও এক্ষেত্রে ‘রানার’ তাকে সহযোগিতা করতে পারবেন। অন্যথায় তিনি ‘রিটায়ার হার্ট’ অথবা অসুস্থতার জন্য প্যাভিলিয়নে যাবেন ও সুস্থ দেহে পুনরায় তার বাদ-বাকী ইনিংস সম্পন্ন করতে পারবে।
আইন ৩:আম্পায়ার: খেলায় দু’জন আম্পায়ার থাকেন। তারা খেলার নিয়ম-কানুন প্রয়োগ, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্কোরারের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। কোন কারণে আইনের বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে মাঠের বাইরে অবস্থানরত ও মাঠের আম্পায়ারকে সহযোগিতার নিয়োজিত তৃতীয় আম্পায়ার কর্তৃক সিদ্ধান্ত চূড়ান্তরূপে গ্রহণ করা হয়।
আইন-৪: স্কোরার: দুইজন স্কোরার থাকে। তারা আম্পায়ারদ্বয়ের কাছ থেকে প্রদত্ত সঙ্কেত গ্রহণপূর্বক স্কোরকার্ডে অন্তর্ভুক্ত করেন।
এইবার এসেছে কিছু ভিন্ন পরিবর্তন ক্রিকেটে। নতুন এক আউটের নাম মানকড়। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ভিনু মানকড় নন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান কে আউট করেন,এই থেকে এর নাম মানকড় আউট। অনেকে আছেন এই আউট এর নিয়মাবলি মানতে নারাজ বলা হয় এটি ক্রিকেট এর আইন বিরুধী।এছাড়া রয়েছে বলে থুথু লাগানোর নিষেধাজ্ঞা। ওয়াইড বল বিচারে স্বচ্ছতা, ফিল্ডিংয়ে অনৈতিক পরিবর্তন করলে শাস্তি,বল যেখানেই পিচ করুম পেটাতে পারবেন ব্যাটসম্যান।
সর্বপরি এই আইন কতটুকু ক্রিকেট খেলায় প্রযোজ্য তাতে রয়েছে মত ভিন্নতা। এইবার বিশ্বকাপ খেলায় এই আইনের কিছুটা প্রয়োগ করা হয়েছে বলে ধরা হয়।
এরকম আরো ব্লগ পড়তে, ক্লিক করুন।
লেখিকা
মোর্শেদা বেগম।
ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
YSSE