আমরা আজ কথা বলবো একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ব্যক্তিত্ব নিয়ে।যিনি আর কেউ নন আমাদের সকলের পছন্দের “The Big Content LTD” এর CEO মাহাতির স্পন্দন। 

 তার বেড়ে উঠা রাজশাহী তে।পড়াশোনার সুবাদে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন CA নিয়ে  Association of chartered certified Accountant থেকে  মানুষের জীবনে কোনকিছু নির্দিষ্ট থাকে না।পরিবর্তন  আসাটা খুব স্বাভাবিক। ঠিক তেমনি স্যারের জীবনে পরিবর্তন আসে CA পড়াকালীন সময়ে।তিনি CA পড়তে গিয়ে বুঝতে পারেন এই দিকটি তঁার জীবনে খুব একটা ভালো কিছু বয়ে আনতে পারবে না।তাই তিনি এই দিকে ক্যারিয়ার না গড়ে হাটতে শুরু করেন নিজের ইচ্ছা শক্তিকে সামনে রেখে,নিজে কিছু করার লক্ষ্যে।তৈরি করে বসেন The Big Content LTD। 

 

The Big Content  শুরু করার আগে ২০০৭ সাল থেকে কাজ  করেন Unmad(উন্মাদ) নামক ফেসবুক প্রতিষ্ঠানে।যেখানে কাজ করতে গিয়ে শিখতে পেরেছেন অনেককিছু।এইখান থেকে জানতে পারেন বিজ্ঞানপন বানানোর বিভিন্ন ধাপ। বলা যায় এইখান থেকে বিজ্ঞাপন নির্মাণের যাত্রা শুরু।তিনি বলেছেন এইটি এমন একটি জায়গা যেখানে জানতে পেরেছি কীভাবে বিভিন্ন Idea নিয়ে কাজ করা যায়,নতুন নতুন কৌতুকময় দিক সৃষ্টি করে কীভাবে মানুষদের  হাসানো যায়।যার মূল লক্ষ্য ছিলো মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, যেটি বেশ সাড়া জুগিয়েছে কভিডের সময়কালে।কেননা তখন এক টুকরো হাসির আশায় মানুষ ছুটছিল নানাদিকে। এছাড়া তিনি কাজ করেছিলেন Nagad এর সাথে।খুব বেশিদিন কাজ করার সুযোগ না হলেও তিনি বলেছেন এটি খুব Interesting একটি জায়গা, যেখান থেকে শিখার অনেক কিছুই আছে।এছাড়া তিনি Former Film Maker at FCB Bitopi Integrated Marketing Agency, যেখানে কাজ করে তঁার বিজ্ঞানপন নির্মানের নানা দিকের ক্ষেত্র গড়ে উঠে।শিখতে পেরেছেন বিজ্ঞাপন নির্মানের নানা ক্ষেত্র।এইখানে কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু বাধার  সম্মুখিন হোন তিনি।তাই  Bitopi ছেড়ে চলে আসেন Cini-Mistri(সিনে-মিস্ত্রি) তে।প্রথমদিকে কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পারেন এইখানে কাজের মধ্যে কোন স্বাধীনতা নেয়।ক্লাইন্ট যা চান তার সঙ্গে মিলছেনা স্যারের নানা দিক।তিনি এই ক্ষেত্রে বলেছেন -বলা যায় ব্যাটে-বলে মিলছে না ব্যাপারটা।তাই খুঁজেতে থাকেন নিজের ইচ্ছে গুলোকে প্রাধান্য দিবেন এমন এক দিক। যেই কথা সেই কাজ তৈরি করে বসেন The Big Content LTD যার মূল লক্ষ্য নিজ থেকে কিছু করা।সম্প্রতি বিভিন্ন campaign এর মাধ্যমে সমাজে কিছু বিষয় যেমন:- ফ্রেশ টিস্যু নির্মিত ব্রেস্ট ক্যান্সার ক্যাম্পেইন , UNDP এর সাথে করা পৃথিবী সবার হোক।এমন সব কিছুর মাধ্যমে জানাতে চেয়েছেন সচেতনার দিক।কাজের লক্ষ্য ছিলো সমাজে যে সকল বিষয়ে এখনো কোন সচেতনতা  তৈরি হয়নি সে দিকটি যাতে উন্মোচন হয় তাই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন সমাজে, তাই বলেছেন এই বিজ্ঞাপন নির্মাতা।এছাড়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে তৈরি করেছেন বিজ্ঞাপন।যার স্লোগান -“দেশের ছেলে জিতলে পরে,খুশি ছড়াই প্রতি ঘরে”।

 

The Big Content Industry এর শুরুতে খুব একটা ভালো যাচ্ছিলো না সবকিছু। বলা চলে খুব কম অর্থে বড় বড় কাজ করতে হয়েছে গোটা টিমকে।এতে কাজের গতি কিছুটা কমে যায়।শুরু হয় নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার নানা পন্থা।নিজারা ফান্ডিং করে কাজে নেমে পড়েন। আস্তে আস্তে তৈরি করেন নানা কাজের ক্ষেত্র।তিনি আরো বলেছেন গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করা ব্যক্তিরাই এই কর্মক্ষেত্রে বেশ অগ্রাধিকার পান এবং তিনি তা দিয়েও থাকেন।তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন যেকোনো কাজ শুরু করার আগে তাদের জানতে হবে কাজটি ঠিক কি নিয়ে,কাজটির নানা দিক।প্রয়োজন হলে সব কাজ শুরু করার আগে Study করতে হবে।এতে ভালো ফল আশা করা যায়।তিনি আরো বলেছেন বর্তমানে  Google হলো সকল কিছু জানার সবচেয়ে বড় একটি দিক,Google কে বলেছেন ব্যক্তিজীবনে প্রধান শিক্ষক। 

 

 তিনি সমাজে বেশকিছু ভালো কাজের মাধ্যমে নিজের বড় পরিচয় তুলে ধরতে চান।যেখানে উপকৃত হবে একটি সমাজ,তরুণ ব্যক্তিবর্গ এবং গোটা একটি জাতি।নিজেকে তিনি একজন “চলচ্চিত্র নির্মাতা” হিসেবে পরিচয় দিতে বেশ স্বাচ্ছন্দ  বোধ করেন।তঁার অনুপ্রেরণার জায়গা খুজতে গেলে তিনি বলেছেন বিভিন্ন দিক,বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ,নতুন নতুন কাজকর্মই তার অনুপ্রেরণার এক অংশ। 

 

এক কথায় মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠা এই  চলচ্চিত্র নির্মাতার জীবন ছিলো খুব চ্যালেঞ্জিং। নিজের মেধা,শ্রমকে কাজে লাগিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন আজকের এই প্রতিযোগাতা মূলক বিশ্বের চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজের দিকটি, পাশাপাশি তিনি সমাজে মেসেজ ছড়িয়ে দিতে নির্মাণ করছেন নানা বিজ্ঞাপন।যার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন আমাদের আজকের সমাজ কেননা এই বিজ্ঞাপনের মেসেজে রয়েছে জীবন বাঁচানোর মত নানা দিক।

 

এরকম আরো ব্লগ পড়তে, ক্লিক করুন। 

লেখিকা

মোর্শেদা বেগম

ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট

YSSE