বাংলাদেশে পাপেট্রি শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয় এটি শিশুদের শিক্ষাদানের এক অসাধারণ উপায়ও বটে। শুভঙ্কর দাশ শুভ এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে Inventor’s Puppet প্রতিষ্ঠা করেছেন যা গত ১২ বছর ধরে শিশুদের সৃজনশীলতা ও শিক্ষাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে কাজ করছে। তবে এই পথচলা সহজ ছিল না। পাপেট্রিকে শুধু খেলার বস্তু মনে করার প্রবণতা প্রযুক্তির যুগে এর স্থান নির্ধারণ করা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই তিনি এগিয়ে চলেছেন। শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনে পাপেট্রির ব্যবহার সবকিছু নিয়েই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
এই আলাপচারিতার দ্বিতীয় পর্বে তিনি জানাবেন Inventor’s Puppet-এর যাত্রা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং কীভাবে পাপেট্রি হয়ে উঠতে পারে শিক্ষার এক শক্তিশালী মাধ্যম।
YSSE: Inventor’s Puppet-এর ১২ বছরের এই যাত্রায় প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কী ছিল, এবং কীভাবে আপনি সেগুলো অতিক্রম করেছেন?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : প্রথমত পাপেট্রিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশের কন্টেক্সটে শক্তিশালী শিল্প মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের অন্যতম একটা কাজ। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে পাপেটের সর্বোচ্চ সংস্থা UNIMA থেকে আমরা সদস্যপদ পেয়েছি।
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য পাপেট্রি এবং এ সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক মাধ্যম, থিয়েটার এবং আদিবাসী মিডিয়াকে সমন্বিত ভাবে প্রয়োগ লালন ও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছি।
ইনভেন্টর’স পাপেট এমন একটি সংস্থা যা পাপেট্রি মাধ্যমে অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজ করে। আমরা আমাদের পাপেট এবং অন্যান্য উপকরণ নিজেরাই তৈরি করি। আমরা পাপেট্রিকে প্রাসঙ্গিক বা সম্পর্কিত মাধ্যম হিসেবে আনন্দের সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মানুষের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি। শিশু এবং জনসাধারণকে শিক্ষিত এবং যোগাযোগ, ফাইন মোটর স্কিল ও লাইফ স্কিল উন্নত করার লক্ষ্যে ইনভেন্টর’স পাপেট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
YSSE: আপনি শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক ও সৃজনশীল পাপেট্রি তৈরিতে কোন বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেন?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : আমরা কর্মশালা আয়োজন করি, পাপেট্রি এবং কারুশিল্প সম্পর্কিত কোর্স পরিচালনা করি, পাপেট উৎসব এবং পাপেট শোয়ের আয়োজন করি এবং পাপেট্রি সম্পর্কিত বিষয়বস্তু এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে শিশুদের সাথে কাজ করি।
ইনভেন্টর’স পাপেট বিশেষভাবে পাপেট থিয়েটার, শো এবং কর্মশালার মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সামাজিক চাহিদার বিষয়ে সচেতনতা জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করে। সংক্ষেপে ইনভেন্টর’স পাপেট পাপেট্রিকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে।
প্রত্যেক শিশুর ভ্যালুজ, ইথিক্স, ক্রিয়েটিভিটি ও প্রব্লেম সল্ভ করার দক্ষতা থাকা জরুরী যা আমরা নৈতিক ভাবেই শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই পাপেটের মাধ্যমে।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইনভেন্টর’স পাপেট প্রতি বছর গড়ে ৩০টি শো পরিবেশনা করে আসছে। এছাড়াও, ইনভেন্টর’স পাপেট বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, অলাভজনক সংস্থা, স্কুল এবং জাতিসংঘের প্রকল্পের সাথে অনেক প্রকল্পে কাজ করেছে।
YSSE: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনে পাপেট্রি কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : ইনভেন্টর’স পাপেট শিক্ষা, বিনোদন, এবং পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করতে পাপেট্রির শক্তি ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাপেট শো, পাপেট থিয়েটার, ইন্টারেক্টিভ ওয়ার্কশপ এবং হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে আমরা শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, পরিবেশ সচেতনতা ও সংরক্ষণ, এবং কমিউনিটির কল্যাণের উপর ফোকাস করে বাংলাদেশের মূল টেকসই উন্নয়ন লক্ষে (SDGs) কাজ করছি।
আমাদের লক্ষ্য হল শেখার জন্য প্রভাবশালী অভিজ্ঞতা, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, এবং জলবায়ু পরিবর্তন, জল সংরক্ষণ এবং টেকসই জীবনযাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যাগুলির বিষয়ে সচেতনতার সাথে গল্প বলাকে একীভূত করা। STEAM শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং স্কুল, এনজিও এবং সরকারী সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতা করার মাধ্যমে, আমরা একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা দিয়ে শিশু এবং কমিউনিটির ক্ষমতায়নের লক্ষে পাপেট নিয়ে কাজ করছি
ইনভেন্টর’স পাপেট নতুন কিছু উদ্ভাবন এবং শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে কোর্স, ওয়ার্কশপ এবং পাপেট উৎসবের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করছি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল পরবর্তী প্রজন্মেকে পরিবেশ-সচেতন করা ও অনুপ্রাণিত করা যারা আরও দায়িত্বশীল এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্বের দিকে আমাদের নিয়ে যাবে। শিক্ষা এবং স্থায়িত্বের জন্য পাপেট্রির জাদু ব্যবহার করতে আমাদের সাথে সবাইকে আমরা স্বগত জানাই।
YSSE: বাংলাদেশে পাপেট্রির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : আমার সীমিত জ্ঞান যা বলে পৃথিবীতে সব শিল্প মাধ্যমই কোন না কোন ভাবে টিকে থাকে বেঁচে থাকে। এখন এটাকে চলমান রাখতে হলে নিরবিচ্ছিন্ন চর্চা করা জরুরী। আমরা যদি কোন প্রকার না পাওয়ার জায়গা থেকে সরে এসে, পাপেট্রি নিয়মিত চর্চা করতে পারি তাহলে এই শিল্প মাধ্যম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তার রং ছড়াতে থাকবে। আমরা আসলে সেই পরিমণ্ডল তৈরি করে রেখে জেতে পারছি কিনা এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পাপেট্রি সহ যে কোন শিল্প সৃষ্টির পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাজ করে যার প্রবাহ নিশ্চিত হওয়া জরুরী বলে আমি মনে করি। যেমন রাষ্ট্র কাঠামো, রাষ্ট্র ব্যাবস্থা, সমাজের সম্পৃক্ততা, মানুষের নান্দনিক বোধ, পারিবারিক শিক্ষা ও অর্থের প্রবাহ।
পাপেট্রি সব থেকে প্রাচীনতম শিল্প মাধ্যম, চর্চা হচ্ছে বলেই কিন্তু এটা এখনো সমহিমায় টিকে আছে যার উদাহরণ বাংলাদেশ সহ পৃ্থিবীর প্রায় প্রত্যেক দেশেই পাওয়া যাবে।
আবার অন্য দিকে রাষ্ট্রযে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে এর তেমন ভালো উদাহরণ আমি এখনো পাইনি আমাদের দেশে, বিদেশে এর ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। তবে আমি মনে করি ব্যাক্তি পর্যায়ে যদি আমাদের স্ট্রেন্থ থাকে তাহলে পাপেট্রির ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে আছে কিন্তু কতটা ভালো আছে এটা বলা সময় সাপেক্ষ।
রাষ্ট্র এক সময় এগিয়ে আসবে এটা আমি বিশ্বাস করি। কারন আমরাতো ব্যাক্তিগত ভাবে এখনো পাপেট্রি করে এগিয়ে জাচ্ছি যদিও এর ভলিউম কম। আমরা চেষ্টা করছি ফান্ড এরেঞ্জ করার, সরকারী, NGO, INGO, কর্পোরেট সব সেক্টরের সাথেই জয়েন্ট কোলাবরেট করে এগিয়ে যাওয়ার। সব সেক্টর থেকেই এগিয়ে আসতে হবে এগিয়ে আসতে হবে পাপেট শিল্প ও ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
YSSE: Inventor’s Puppet-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য কী?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : আনন্দময় শিক্ষার মাধ্যমে আমরা সৃজনশীলতা এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করছি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম এবং গবেষণার সংযোগস্থলে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি করা, কল্পনাপ্রবণ মনকে লালন করা এবং বৈচিত্র্য, ন্যায়বিচার এবং সবার অন্তর্ভুক্তি মুলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
আমরা শিক্ষা ও ক্ষমতায়ানের মাধ্যমে শিশুদের আলোকিত করার লক্ষে কাজ করছি। শিক্ষা যেন আনন্দ এবং বিনোদনের মিশ্রণ ঘটায়, সৃজনশীলতা, সহমর্মিতা এবং স্থিতিস্থাপকতা লালন করার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছি। শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং গবেষণার সংযোগস্থলে কাজ করে, আমরা শিশুদের জন্য সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা, প্রিয় চরিত্র, আইকনিক শো এবং আরও অনেক কিছু তৈরি করছি। আমরা খেলাধুলাপূর্ণ, সামগ্রিক পরিবেশ তৈরিতে দেশব্যাপী পরিবারগুলিকে সহায়তা করছি। আমাদের বিকশিত উদ্যোগগুলি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পারিবারিক চাহিদা পূরণ করবে এই লক্ষে কাজ করছি।
YSSE: আপনার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা যদি আমাদের সাথে শেয়ার করতেন।
শুভঙ্কর দাশ শুভ : অনেক রকমের ঘটনা আছে জীবনে যা উল্লেখ করার মত, সব থেকে বৈচিত্র্য পুর্ণ ঘটনা যদি বলি তাহলে বলতেই হবে আমি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে যেদিন মুস্তাফা মনোয়ার স্যারকে খুঁজে পেলাম। যার জন্য আমি পাপেটিয়ার হতে পেরেছি চারুকলায় পড়তে পেরেছি। এটা আমার লাইফ টার্নিং একটা ঘটনা যা আমি কখনো ভুলবো না।
YSSE: আপনার সফলতার পেছনে ব্যক্তিগত ও পেশাগতভাবে কাদের সহযোগিতা আপনি উল্লেখ করতে চান?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : আমার এতটুকু জীবনে আমি বেশ কিছু শিক্ষক ও মানুষের স্নেহধন্য হয়েছি এবং শিখেছি সবার নাম বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখযোগ্য ভাবে যারা আমার জীবন বোধ পরিবর্তন করেছেন মার্টিন প্যাট্রিক রবিনসন, সালেক খান স্যার ও আর্থার ব্যাপ্টিস্ট মুক্ত।
এছাড়াও যে প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছে আমি ঋণী প্রথমেই আমার বিশ্ববিদ্যালয় এর পর সিরিয়ালি এডুকেশনাল পাপেট ডেভ্লপমেন্ট সেন্টার, রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা পাপেট থিয়েটার, নয়নতারা কমিউনিকেশন, সিসেমিস্ট্রিট, সিসিমপুর, বৈশাখী টেলিভিশন, লাইট অফ হোপ এবং সর্বপরি ইনভেন্টর’স পাপেট যেখানে আমি প্রতিনিয়ত শিখছি।
YSSE: আপনার এই উদ্যোগ এবং কাজের জন্য যদি কোনো স্লোগান লিখতে বলা হয় সেটি কী হবে?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : এক কথায়
“বিকশিত শিশু আলোকিত পৃথিবী”
YSSE: সম্প্রতি Inventor’s Puppet, বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কর্মশালায় (BCDP) অংশ নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : প্রকৃতি ও পরিবেশ পাঠ বাড়ানোর জন্য আমরা পাপেট দিয়ে বিভিন্ন স্কুল ও কমিউনিটিতে এক্টিভেশন প্রোগ্রাম ও পাপেট শো আয়োজন করছি। এটা পুরোটাই বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষা নিতিতে চলবে যেখানে শিশু ও বড়রা সানন্দে আগ্রহ নিয়ে যোগদান করবে। ফান্ড পেলে এর সাথে কিছু লার্নিং ম্যাটেরিয়াল ও উপহারের ব্যাবস্থা করা যাবে, জাতে পুরো বিষয়টা হেন্ডস অন হবে।
YSSE: বর্তমানে শিশুদের শিক্ষামূলক বিনোদনের ধরন অনেক পরিবর্তিত হচ্ছে। আপনি কি মনে করেন পাপেট্রি এখনও শিশুদের কাছে আগ্রহের বিষয়?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : যেহেতু শিশুদের এখন প্রচুর ডিভাইস ও স্ক্রিনে সময় কাটে এটা থেকে ওদের জেন্টালি বের করে আনতে হবে জাতে শিশুর সময় সমান ভাবে বিভিন্ন কাজে ভাগ হয়ে যায়। এজন্য শিশুদের সরাসরি বিনোদন ও হাতে কলমে শেখাতে হবে যাতে সে তার কাজে মজা পায়। আবার ডিভাইস ও স্ক্রিনের জন্যও পাপেট দিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট বানাতে হবে। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে শিশুরা আপনাকে আমাকে না শুনলেও সে পাপেট ক্যারেকটারের কথা বেশ মন দিয়ে শোনে ও বোঝে।
যার জন্য আমরা আইকনিক ও ব্র্যান্ডেড ক্যারেক্টার তৈরি করেছি তাদের পাট্টিকুলার ক্যারেক্টারস্টিকও আছে। সেই ক্যারেক্টার যদি সরাসরি বা ভিডিও কন্টেন্টে শিশুর সাথে কথা বলে তাহলে শিশু সেটা মন দিয়ে শোনে ও মেনে চলে। তারা আসলে শিশুদের কাছে একেকজন সুপার হিরো যেমন বুলু, জিনিয়া, টুবাই, টুবলু ইত্যাদি।
সরাসরি যখন পাপেট ক্যারেক্টার শিশুর কাছে যায় বা ইন্টার্যাক্টিভ শো করে ওরা একে ওপরকে জরিয়ে ধরে কথা শেয়ার করে আনন্দ করে। এগুলো সবাইকে জানাতে হবে ব্র্যান্ডিং করতে হবে নিজেদের আধুনিক করতে হবে তবেই কিন্তু পাপেট্রি বড়দের সহ শিশুদের কাছে আগ্রহের বিষয় হবে বেশি করে।
YSSE: নতুন প্রজন্মের জন্য পাপেট্রি নিয়ে কাজ করতে চাইলে তাদের কী পরামর্শ দেবেন?
শুভঙ্কর দাশ শুভ : শিল্পের কাছে মানুষের একটা দায়বদ্ধতা আছে এটা ফিল করতে হবে, শিল্প শুধু আমাদের আনন্দ বা বিনোদিত করেনা এটা আমাদের জীবন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। শিল্প ভালবাসতে শেখায় শিল্পকে ভালবাসতে হয় এতেই আমাদের প্রাপ্তি নিহিত আছে।
আর পাপেট্রি যেহেতু প্রাচীন শিল্প মাধ্যম এবং মজার বিষয় হল পাপেট্রিতে শিল্পের অন্যান্য সমস্ত সাখার প্রবাহ আছে এখানে সঙ্গিত, ভাস্কর্য, বাচিক, চিত্র, নাটক থেকে শুরু করে সব আছে সব কিছুর মিশ্রণ হচ্ছে পাপেট্রি। তাই পাপেট্রি করতে হলে ভালবাসাটাও একটু বেশি দরকার।
প্রত্যেক শিশু জন্মানোর পর থেকেই পুতুল নিয়ে খেলা শুরু করে এটাকেই আরেকটু ভালোবেসে চর্চা করা, যে কোন বস্তুই কিন্তু নাড়াচাড়া করলে আর তার সাথে কণ্ঠ প্রদান করলেই পাপেট্রি হয়ে যায় দরকার শুধু একগ্রতা ও ভালোবাসা।
এই রকম আরো ব্লগ পড়তে, ক্লিক করুন
লেখক
আনিকা শারমিলা
ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
YSSE