ফাতিহা আয়াত—১৩ বছরের এক অসাধারণ মেয়ে। শিশু অধিকার আর জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে সে ইতোমধ্যে জাতিসংঘে একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছে! YSSE কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অনুপ্রেরণা, সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তার উজ্জ্বল ও সাহসী যাত্রার গল্প তুলে ধরেছেন। Zero Olympiad থেকে শুরু করে বাংলাদেশের শিশু ও তরুণদের জন্য তার স্বপ্ন এবং কাজের মাধ্যমে তিনি কেমন করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মিশনে এগিয়ে যাচ্ছেন তা আজ আমরা ফাতিহা আয়াত থেকেই সেটি বিস্তারিত জানবো।
YSSE: প্রথমেই আপনার সম্পর্কে জানতে চাইছি। আপনার জন্ম, পড়াশোনা, বেড়ে উঠা, বর্তমানে কী কাজ করছেন ইত্যাদি।
ফাতিহা আয়াত : আমার নাম ফাতিহা আয়াত। আমার জন্ম ২০১১ সালে অক্টোবর মাসে। আমার যখন চার বছর বয়স তখন আমি ও আমার পরিবার আমেরিকা চলে যাই। ২০১৫ থেকে ২০২৪ পযর্ন্ত আমরা এতদিন আমেরিকায় ছিলাম। কয়েক মাস আগেই আমি বাংলাদেশে ফিরেছি। আমার স্কুল জীবন নিউইয়র্কেই শুরু হয়। আমরা নিউইয়র্কে প্রায় ৯ বছর ধরে ছিলাম, কিন্তু এখন যেহেতু আমি বাংলাদেশে এসেছি আমি বর্তমানে পড়ছি আগা খান একাডেমি ঢাকাতে। সংক্ষেপে নিজের পরিচয়টা জানিয়ে দেই। আমি ১৩ বছর বয়সী একজন শিশু অধিকারকর্মী, ক্লাইমেট ক্যাম্পেইনার, আমি জাতিসংঘে একাধিক বার বক্তব্য রেখেছি আলহামদুলিল্লাহ্ এর সাথে সাথে অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম বক্তব্য রেখেছি। আমি নিয়মিত জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, মানবাধিকার ও শিশু অধিকার বিষয়ে আমি কথা বলি।
YSSE: বাংলাদেশি শিশুদের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা আপনি কীভাবে পেয়েছেন?
ফাতিহা আয়াত : বাংলাদেশের শিশুরা অনেকেই হয়তোবা তাদের মৌলিক মানবাধিকার গুলো পাচ্ছে না। উদাহরণ স্বরুপ আমরা বলতে পারি অনেকেরই নিরাপদ একটা আশ্রয়স্থল নেই, গুণগত মান সম্পন্ন খাবার নেই, গুণগত শিক্ষা নেই, স্বাস্থ্যসেবা নেই আরও অনেক কিছু। মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও মানবাধিকারের অভাবে তারা অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমার মনে হলো তারা তাদের জীবনে তাদের সেরাটা পাচ্ছে না। আমার বয়স মাত্র ১৩। আমি যে অধিকার পাচ্ছি তা অন্যরা কেন পাবে না। তো সেই চিন্তা থেকে আমার বাংলাদেশি শিশুদের জন্য কাজ করা। যেহেতু আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক তো বাংলাদেশ আমার দেশ। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই আমি বাংলাদেশি শিশুদের জন্য কাজ করি।
YSSE: জাতিসংঘে ১৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার যুব সম্মেলনে “হিউম্যান রাইটস হিরো অ্যাওয়ার্ড” পাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ফাতিহা আয়াত : ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। এটা আমার জন্য খুবই সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিল কারণ আমি যে এই পুরুষ্কার পেয়েছি এটি আসলে যেই দিন পেয়েছি তার আগের দিন অনেক বড় একটি সম্মেলন হয়েছিল এবং সেই সম্মেলনে বিশ্বের অনেক তরুণরাই কিন্তু এসেছিল এবং আমি সেই সুযোগ পেয়েছিলাম নেটওয়ার্কিং করার। নতুন অনেকের সাথে দেখা করেছি, কথা বলতে পেরেছি এবং তাদের অভিজ্ঞতা জানতে পেরেছি। আমি বলতে পারি এটি ছিল একটি দারুণ নেটওয়ার্কিং সেশন, যেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। একই সঙ্গে “হিউম্যান রাইটস হিরো অ্যাওয়ার্ড” যেটি আমাকে জাতিসংঘের ইকোসক চেম্বারে দেওয়া হয়েছিল, পুরুষ্কারটি পাওয়ার পর আমি একটি বক্তব্য রাখি এবং বক্তব্যে আমি বলেছিলাম যে, এই পুরস্কারটি আমার জন্য নয়, বরং সেই সব শিশু বা মানুষদের জন্য, যারা তাদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। আমি এই পুরস্কারটি তাদের প্রতি উৎসর্গ করছি। তবে সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা ভালো ছিল, আলহামদুলিল্লাহ। আর আমার কাছে এই পুরস্কারটি খুবই বিশেষ কারণ এটা প্রমাণ করে যে পৃথিবীর সবাই আমার কাজকে সম্মান করে এবং প্রশংসা করে, আর আমি এই পুরস্কারের জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমার পুরস্কারটি পাওয়ার অভিজ্ঞতা যেমন খুবই ভালো ছিলো আলহামদুলিল্লাহ্ তা সাথে সাথে এর পেছনের কারণটিও আমার জন্য একটি প্রেরণা, যা আমাকে আমার কাজ চালিয়ে যেতে আরও অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে।
YSSE: নভোচারী ডন থমাস, নিকোল স্টট এবং জেরি লিনেনগারের সাথে সাক্ষাৎ করে আপনার অনুভূতি যদি জানান?
ফাতিহা আয়াত : এই তিনজনই কিন্তু নাসার এস্ট্রোনট ছিলেন আমার মনে হয় এখনো আছেন। তাদের সাথে দেখা করতে পেরে আমি খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম কারন আমার ছোটবেলা থেকেই একটা স্বপ্ন ছিল আমি এস্ট্রোনট হবো। এস্ট্রোনট হওয়ার স্বপ্নটি অনেক আগের ছিল কিন্তু এখন আমি চাই যে Aeronautical engineer হতে। স্পেস রিলেটেড ফিল্ডে Aeronautical engineer হিসেবে আমি কাজ করতে চাই। তাদের সাথে দেখা করতে পেরে অসাধারণ প্রেরণা ছিল আমার জন্য কারণ আমি যখন তাদের কে বলি আমি Aeronautical engineer হতে চাই তখন তারা আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন যে কিভাবে করতে পারি, তারা কিভাবে করেছিলেন। তো তাদের সাথে কথা সত্যিই একটি অনুপ্রেরণা ছিল। এবং তাদের মতো মানুষই কিন্তু আমার এই পেশন কিংবা স্বপ্নকে পরিচালিত করে।
YSSE: জাতিসংঘের ইয়ুথ অবজারভার, নাসার প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ, এবং নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনার জন্য কতটা অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল?
ফাতিহা আয়াত : আমি যেটি বলছিলাম এই সকল মানুষের কাছ থেকে প্রেরণা পাওয়া আমার জন্য সত্যিই অসাধারণ ছিল। কারন তাদের থেকে আমি যে স্বীকৃতি পেয়েছি সেটি আমার কাছে স্বীকৃতির চেয়েও বড় কিছু মনে হয়। তারা আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমার মনে আছে ড. মুহাম্মদ ইউনুস তার ডাকে কিন্তু আমি বাংলাদেশে এসেছি। তার অনেক পরামর্শ এর কারণে আমি এখন যা তা হতে পেরেছি । যেমনটি বললেন জাতিসংঘের ইয়ুথ অবজারভার, নাসার প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ এরকম নানা ধরনের বিশেষ ব্যক্তিদের থেকে আমি অনেক অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ পেয়েছি। তাদের পরামর্শ মেনেই আলহামদুলিল্লাহ্ আমি আজ এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি।
YSSE: আপনার সাফল্যের পেছনে কাদের অবদান বা সমর্থনের কথা উল্লেখ করবেন?
ফাতিহা আয়াত : আমি অবশ্যই আমার বাবা মার কথা বলবো। আমার বাবা ও মা, দুজনেই আমার সম্পূর্ণ যাত্রাপথে আমাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। তারাই আমাকে অনেক খবর দেখাতো আমাদের বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন, রাজনীতি, মানবাধিকার এর অবস্থা সম্পর্কে বলতো। আমি আর আমার আব্বু গাড়িতে বসে খবর শুনি। আম্মুর সাথে নানা বিষয়ে কথা বলি। ডিনার টেবিলে আমি আম্মু আব্বু আমার দুই বছরের একটা ছোট ভাই আছে আমরা সবাই একসাথে বসে নানান বিষয়ে কথা বলি। এই অগ্রগতির আলোচনা এবং এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে আমি অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি। তাদের অনেক বড় কন্ট্রবিউশন আছে আমার এই সফলতার জন্য।
YSSE: আপনার এই সফলতার পেছনে প্রতিবন্ধকতা ছিল কি? থাকলে সেগুলো কী ধরনের প্রতিবন্ধকতা। এবং কীভাবে সেগুলো সমাধান করেছিলেন?
ফাতিহা আয়াত : অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়ে ছিল। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো, অনেকেই হয়তোবা আমার বক্তব্য শুনে কিন্তু তারা তাদের কাজ শুরু করেননি। উদাহরণস্বরূপ যদি বলি আমি TedX, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জাতিসংঘের মতো প্লাটফর্মে বক্তব্য রেখেছি। আমার বক্তব্য যারা শুনেছেন তারা কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আর আমার মনে হয় এটি অনেক বড় একটি সমস্যা। পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন চিন্তার পাশাপাশি কাজও করা হয়। আমাদের কাজ করতে হবে। আমার যাত্রায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো আমি যাদের সঙ্গে মিশেছি, তাদের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের অভাব, সচেতনতার ঘাটতি এবং আগ্রহের অভাব।
YSSE: আপনার এই উদ্যোগ এবং কাজের জন্য যদি কোনো স্লোগান লিখতে বলা হয় সেটি কী হবে?
ফাতিহা আয়াত : আমার মনে হয় এটি স্লোগান হতে পারে “Changing the world together with everyone”। কারণ আমি বিশ্বাস করি আমার যে কাজ সেটি একা করলে হবে না। আমাদের সকলকে একত্রিত হতে হবে। এভাবেই আমরা পুরো পৃথিবীকে বদলে দিতে পারি।
YSSE: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? ভবিষ্যতে কী নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে?
ফাতিহা আয়াত : আমি আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে Global Leadership এর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে চাই। একইসাথে আমাদের দেশের তরুণদের একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই। যেখানে তারা তাদের মতামত দিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মানবতার জন্য কাজ করতে চাই। আমি শুধু দেশের জন্য নয় বরং পুরো পৃথিবীর জন্য কাজ করতে চাই। পেশাদার দিক থেকে যদি বলি আমি একজন Aeronautical Engineer হতে চাই।
YSSE: বর্তমানে আপনি “Zero Olympiad” নিয়ে কাজ করছেন। এ সম্পর্কে যদি কিছু বলেন।
ফাতিহা আয়াত : আমাদের দেশে কিন্তু তেমন গ্লোবাল লিডারস নেই। হয়ত দুই একজন আছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু তার মতো এত বড় গ্লোবাল লিডার আমরা বাংলাদেশ থেকে আর দেখতে পাইনি। আমার মনে হয় এটি খুবই উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের মানুষের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমরা এটা কাজে লাগাতে পারছি না। বাংলাদেশের তরুণদের গ্লোবাল লিডার বানাতে পারছি না। আমি এই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়েছি যে আমি চেষ্টা করবো বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কমপক্ষে পাঁচ জন গ্লোবাল লিডারস তৈরি করতে। এই ভিশন এবং মিশন নিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি।
Zero Olympiad মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তরুণদের ১৭ টি SDG এর সাথে যুক্ত করা। জাতিসংঘের ১৭ টি SDG আছে কিন্তু অনেকেরই এটি সম্পর্কে ধারণা নেই। আমি চেষ্টা করছি আমাদের দেশের তরুণদের এই ১৭ টি SDG এর ব্যাপারে আরও জানাতে। এটির নাম হচ্ছে Zero Olympiad। কারণ আমরা যদি SDG অর্জন করতে চাই তাহলে সেটির উল্টোকে আমাদের Zero করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ যদি বলি বাংলাদেশে গুণগত শিক্ষা অর্জন করতে চাইলে তার জন্য শূন্য নিরক্ষরতা প্রয়োজন। এরকম যে SDG অর্জন করতে চাই সেটির উল্টোদিকটি Zero করতে হবে। তাই এটির নাম দেওয়া হয়েছে Zero Olympiad। এখানে রাউন্ড-১ এ রেজিস্ট্রেশনের পর অংশগ্রহণকারীরা জাতিসংঘ থেকে চারটি কোর্স পাবেন। জাতিসংঘের ২ টি ইনস্টিটিউট আছে (UNITAR) এবং (UNCCD)। এদের কাছ থেকে চারটি কোর্স পাবে আমাদের Email এর মাধ্যমে। রেজিস্টার করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তারা Email টি পেয়ে যাবেন। এই কোর্স করে তারা SDG সম্পর্কে অনেক ধারণা পাবেন। রাউন্ড-১ এ কোর্স থেকে যা শিখবে সেটির উপর MCQ নেওয়া হবে জানুয়ারি ১০ তারিখে। এখান থেকে বাছাইকৃত অংশগ্রহণকারীরা রাউন্ড-২ এ নেওয়া হবে। রাউন্ড-২ এর ডেডলাইন হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি। এখানে অংশগ্রহণকারীদের একটি নির্দিষ্ট SDG দেওয়া হবে। নির্ধারিত SDG এর উপর তিন মিনিটের ডকুমেন্টারি তৈরি করে আমাদের পাঠাতে হবে। সেখান থেকে ৫১ জন ফাইনালিস্ট বাছাই করা হবে। গ্র্যান্ড ফিনালে ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। রাউন্ড- (১ও২) অনলাইন অনুষ্ঠিত হলেও গ্র্যান্ড ফিনালে সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করা হবে জুরি বোর্ড এর সামনে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য।
এখানে অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। যেমন সাদাত রহমান, শাইখ সিরাজ, RJ কিবরিয়া সহ আরো অনেকে। ১৭ জন ফাইনালিস্টকে পুরুষ্কৃত করা হবে। Zero Olympiad ন্যাশনাল এনভয় তে যে ফাইনালিস্টরা থাকবে তারা নানা ধরনের কনফারেন্স যুক্ত থাকবেন। যেমন তারা তাদের ক্যাম্পাসে ওয়েবিনারস, সেমিনারস, কনফারেন্স করতে পারেন। জাতিসংঘের যে SDG সামিট হয় এর ইয়ুথ কনফারেন্সে যাওয়ার জন্য আমরা সাহায্য করবো। বৃত্তি নিয়ে যারা দেশের বাইরে পড়তে চান তাদেরকেও সাহায্য করা হবে আমাদের পক্ষ থেকে। Zero Olympiad এর মুল ধারণা হলো এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় তারা নানা ধরনের স্কিলস গড়ে তুলবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে প্রেজেন্টেশন স্কিলস ও অরগানাইজিং স্কিলস যেটি তাদের গ্লোবাল লিডারশিপে সাহায্য করবে। এটিই মূলত Zero Olympiad।
YSSE: আপনার এই সাফল্যগুলো কীভাবে আজকের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
ফাতিহা আয়াত : আমার মনে হয় যে আমি এখনো তেমন সাফল্য পাইনি কিংবা যে অর্জন গুলির কথা বলছেন সেগুলো অর্জনে সক্ষম হয়নি। কিন্তু যদি বলতে হয় তাহলে আমি বলবো কখনো হাল ছেড় না। আমার জীবনে অনেক প্রতিকুলতা এসেছিল কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি । এরসাথে আরেকটু যোগ করবো আপনার কাছে যেই প্লাটফর্মই থাকুক না কেন সেটি হতে পারে আপনার পরিবার, সামাজিক পরিবেশ কিংবা অনলাইন কোনো প্লাটফর্ম, যেটাই আপনার হাতের নাগালে থাকুক সেটিকে ব্যবহার করে আপনার পেশনের যে জায়গা সেটির ব্যপারে আপনার আওয়াজ তুলুন।
YSSE: পরিশেষে, পাঠকদের উদ্দেশ্যে আপনার কি পরামর্শ থাকবে?
ফাতিহা আয়াত : যেমনটি বললাম আপনার পেশন যাই হোক, নিশ্চিত করুন যে আপনি সে সম্পর্কে আপনার আওয়াজ তোলার। আমাদের তরুণদের কথা শুনতে হবে। আমাদের সেই অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। আমি আশা করবো যে পাঠকরা তাদের পেশনের জায়গায় কাজ শুরু করে দিবেন। এই মিশন নিয়ে যে –
“To foster a more inclusive and accessible future for all.”
ধন্যবাদ সবাইকে।
ফেসবুক প্রোফাইল: https://www.facebook.com/share/15R2ewz5Zi/
এই রকম আরো ব্লগ পড়তে, ক্লিক করুন
লেখিকা
আনিকা শারমিলা
ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
YSSE