ভূতের গল্প পড়তে কে না ভালোবাসেন! লোম খাড়া হয়ে যাবে, গা শিরশির করবে, এরকম ভয়ঙ্কর অনুভূতি কে না অনুভব করতে চান! তাহলে শুরু করা যাক আজকের এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে কক্সবাজারে আমার বন্ধু সাজুর সাথে। সে শীতকালীন ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তাই সে ২০১৮ সালের ১০ই জানুয়ারি রাতে বাসযোগে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রওনা হয়। এবং সকাল ৮ টায় সে কক্সবাজার পৌছে যায়।
কক্সবাজার পৌঁছনোর পর সে একটি ৫ স্টার হোটেল রুম ভাড়া করে যা আমাদের ঢাকার ৫ তারকা হোটেল শেরাটনের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় যেখানে ছিল সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা। তার ভাড়া করা রুমটি ছিল ৩য় তলায় এবং রুম নাম্বারটি ছিল ৩৩৩। সঙ্গত কারণে সে হোটেলের নামটি বলতে ইচ্ছুক হয় নি।
তারপর অন্য সবার মতো আমার বন্ধু সাজু সকালের নাস্তা সেরে হোটেল রুমে ফিরল। এরপর হোটেল রুমে প্রবেশের পর হঠাৎ কোনো এক স্টাফ ‘ঠক ঠক’ করে দরজায় কড়া নাড়ছিল। তারপর সে তার দরজা খুলে দেখে যে একজন মহিলা স্টাফ সকালের নাস্ততা নিয়ে দরজার সামনে অপেক্ষা করছে। কিন্তুু সে জানত যে হোটেল থেকে কোনো নাস্তার ব্যবস্থা নেই।
সাজুর অনুমান মতে নাস্তাটি দেওয়া মহিলাটির বয়স হবে ২৫ বছর বা তার চেয়ে কিছু বেশি এবং চোখে ছিল একটি গ্লাস। তো সাজু নাস্তা নিয়ে টেবিলে রাখতেই মহিলাটি হঠাৎ উধাও হয়ে গেল যা তার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়।
তার একটু পর সাজুর আম্মু কল করেছিল এবং সে মহিলাটির হঠাৎ চলে যাওয়া ঘটনাটি তার মা এর সাথে শেয়ার করে যা তার মা সাধারণ ঘটনা ভেবে নেন। যাইহোক, তারপর সাজুর পুরো দিন কেটে যায় সমুদ্র স্নান করে ও সমুদ্র উপভোগ করে। তারপর রাতে সাজু হোটেল রুমে ফিরে। ঠিক তার ২ মিনিট পর আবারও দরজা নক করছিল কেউ একজন। দরজা খুলতেই দেখলো ঐ মহিলা।
এবং মহিলাটি বলল, “স্যার আপনার রাতের ডিনার।” সাজু ডিনার নিতে নিতেই সে আবারও হঠাৎ উধাও। তখন সাজু খানিকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তো ঐ রাতে সাজু তার রুমে আরও কিছু জিনিস উপলব্ধি করতে পারলো যে, হঠাৎ টয়লেটের কল দিয়ে পানি পড়া এবং বিকট টিভির শব্দ। যা সাজু ঘুমের ঘোরে ভেবে নিয়েছিল তার মনের ভুল।
পরদিন সকালবেলা সাজু রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে জিগ্যেস করল যে, আপনাদের এখানে কি কোনো মহিলা স্টাফ আছে? সাথে সাথেই ম্যানেজার উওর ছিল ‘না।’ তখনই সাজু চমকে উঠলো এবং সে তার সাথে পুরো সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা ম্যানেজারকে জানালো।
ম্যানেজার বলল, “আমাদের এই রেস্তোরাঁয় ৩ জন মহিলা স্টাফ ছিল। ঠিক ১ বছর আগে আমাদের তিন জন স্টাফের একজন ৩৩৩ নাম্বার রুমে একজন বিদেশি গেস্ট দ্বারা খুন হয়। তারপর থেকে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বাকি ২ জন মহিলা স্টাফ আর রাখেনি। আর ঐ রুমে খুন হবার পর আপনিই ছিলেন প্রথম গেস্ট।”
ম্যানেজারের কথা শোনার পর সাজু কিছুক্ষণ চুপ ছিল। ম্যানেজার তাদের খুন হওয়া স্টাফের ছবিও দেখাল। কিন্তু মেয়েটির ছবি দেখার পরেও সাজুর মনে এখনো প্রশ্ন জাগ্রত হয় যে- মেয়েটি কি আদৌও খুন হওয়া সেই মেয়ে?
Writer
Md. Sazid Alam
Intern,
Content Writing Department
YSSE