একজন উদ্যমী তরুণ উদ্যোক্তার গল্প, যিনি রঙ আর সৃষ্টিশীলতাকে হাতিয়ার করে গড়ে তুলেছেন “অরুণা”—একটি স্বপ্ন, একটি পরিচয়!  তার এই যাত্রা, চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গল্প এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানুন বিস্তারিত!

YSSE: আপনার এই সফলতার পেছনে প্রতিবন্ধকতা ছিল কি? থাকলে সেগুলো কী ধরনের প্রতিবন্ধকতা। এবং কীভাবে সেগুলো সমাধান করেছিলেন?

Sadia Nusrat Mim: আমি তো আমার কাজ তা মূলত অনলাইন এ শুরু করি।  আমাদের অনেকের কাছে হয়তো মনে হয় যে, অনলাইন মানেই প্রতারণা অথবা সঠিক পণ্য না পাওয়া। আমার জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে আমার কাজ আর আমার পেজ যে ফেইক না এইটা সবার কাছে তুলে ধরা। ওই সময় আমাদের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পেজ ছিল। সেই পেজ, গ্রুপ গুলোতে আমরা একটা নির্দিষ্ট কোড এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পেইজকে মানুষের কাছে তুলে ধরতাম। এর পাশাপাশি পেইজের রিচ বাড়ানোও একটা প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবে করোনার সময়ে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল আমি অফলাইনে নিজের কাজ গুলো শো করতে পারতাম না। এর ফলে মানুষ এর বিশ্বাস অর্জনটা একটু কঠিন ছিল। পণ্যের ডেলিভারি নিয়েও বেশ প্রতিবন্ধকতা গেছে।তবে দিন শেষে আমি বলবো, এতো প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমি মানুষ এর অনেকটা বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। 

YSSE: আপনার সফলতার পেছনে কাদের সাপোর্ট এর কথা আপনি উল্লেখ করতে চান?

Sadia Nusrat Mim: আমি আমার কাজের আইডিয়া শুরুতে আমার বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করি। তারা আমার এই কাজে অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন শুরু থেকেই।বাবা মায়ের পাশাপাশি আমার বন্ধুরাও আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছিল। আমার পেজ এর পোস্ট শেয়ার করা, পেজ এর ফলোয়ার্স বাড়ানোতে তাদের বেশ অবদান ছিল। ফ্রেন্ড এবং ফ্যামিলির এইরকম সাপোর্ট পাওয়ার কারণেই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। 

YSSE: কেন “অরুণা” অন্য সকল উদ্যোগ থেকে আলাদা বলে আপনার মনে হয়?

Sadia Nusrat Mim: অনেকেই দেখা যায় যে, নিজেরা বিভিন্ন জায়গা থেকে পণ্য এনে কিংবা বাইরের দেশ থেকে প্রোডাক্ট এনে সেটা বিক্রি  করে।  কিন্ত আমার কাজে আমি কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিজের আইডিয়া অনুযায়ী সেগুলো নতুন করে তৈরি করে মানুষ এর কাছে প্রেজেন্ট করছি।এক্ষেত্রে আমার প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট ই  ইউনিক বলতে গেলে। শুধু তাই না, গ্রাহক যদি চায় তারা রং থেকে শুরু করে তাদের পছন্দের ডিজাইনও কাস্টোমাইজশন করে নিতে পারবে আমার পেজ থেকে। এই জিনিসটা গ্রাহকদের কাছে অনেক গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।এইটার জন্যই আমি বলবো অন্য সকল উদ্যোগ থেকে আমার কাজকে আলাদা করে। 

YSSE: আপনার এই উদ্যোগ এবং কাজের জন্য  যদি কোনো স্লোগান লিখতে বলা হয় সেটি কী হবে?

Sadia Nusrat Mim: আমার এই উদ্যোগের সাথে যদি কোনো স্লোগান বা লাইন লিখতে বলা হয় তবে সেটা হবে , 

“Utilize your ordinary art knowledge, Create extraordinary things”

YSSE: আপনার কাজ মানুষের মাঝে কেমন সাড়া ফেলে? তাঁদের এই প্রতিক্রিয়া আপনার কাছে কেমন লাগে?

Sadia Nusrat Mim:  আমার কাজগুলো গ্রাহকরা বেশ পছন্দ করছে। তাদের থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছি আমি।এইটা দেখতেও আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। 

YSSE: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

Sadia Nusrat Mim: আমার এই কাজ তো বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক। আমি তো এখনো পড়াশুনা করতেছি তাই এইকাজে ঐভাবে সময় দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এখন। যখন আমার পড়াশুনা শেষ হবে তখন আমার ইচ্ছা ছোট একটি আউটলেট দেয়ার। এখানে আমি আমার তৈরি করা কাজ গুলো প্রদর্শন করবো। বর্তমানে আমি আমার ক্যাম্পাস এ কোনো ইভেন্ট হলে ষ্টল দিয়ে থাকি।  এখানে আমি আমার পণ্যগুলোর জন্য ভালোই সাড়া পেয়ে থাকি। এই জায়গা থেকেই আমি মূলত অনুপ্রেরণা পাই ভবিষ্যৎ এ  নিজের একটি আউটলেট দেয়ার। এইটাই আমার বর্তমানে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। 

YSSE: একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পাঠকদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কী থাকবে?

Sadia Nusrat Mim: একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার পরামর্শ থাকবে, আপনার যদি উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা থাকে, আপনার মধ্যে যদি কোনো আইডিয়া থাকে , আপনি এই বিষয়ে আরো জানুন, মার্কেট এনালাইসিস করুন। আপনি তারপর আপনার কাজ মানুষ এর মাঝে প্রকাশ করুন। আপনি তখন আপনার এই কাজে ইনভেস্ট করুন। সেখান থেকে আপনি লাভবান হলে আরো মানুষ আপনার সাথে সংযুক্ত করুন এবং আরো কিছু মানুষ এর  কর্মসংস্থান এর সুযোগ করে দিন। এটাই আমার পরামর্শ থাকবে।

YSSE: আপনার এই উদ্যোগের মাধ্যমে আপনি সমাজে কিভাবে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারছেন বলে মনে করে?

Sadia Nusrat Mim: আমার কাজে আমার কিছু সহকর্মী রয়েছে যারা আমার পেজ এর মডারেটর এবং এমপ্লয়ী হিসেবে যুক্ত আছে।ভবিষ্যতে আউটলেট দিলে আরও এমপ্লয়ী নিযুক্ত করবো।এভাবে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আমি সৃষ্টি করতে পারবো বলে আশা করছি।এগুলোই ইতিবাচক দিক আমার উদ্যোগের।

ধন্যবাদ সবাইকে।

ফেসবুকপেজ: https://www.facebook.com/profile.php?id=100063747153171

To read more blogs like this, Click here 

Writer

Samsul Alam Roni

Intern, Content Writing Department

YSSE