ক্রাইম থ্রিলার, সিরিয়াল কিলার, বুলিং নিয়ে এখন পর্যন্ত হলিউড, বলিউড অনেক রকমের অনেক মুভি, সিরিজ বানিয়েছে। তবে সব বুলিং এর সীমা ছাড়িয়েছে কোরিয়ান ড্রামা “দ্যি গ্লোরি”
এই গল্পটি নিজের সহপাঠীদের দ্বারা এক সাধারন মেয়ের স্কুলে বুলিং হওয়ার গল্প। নির্যাতনের মাত্রা এতোটাই প্রকোট ছিলো যে মেয়েটি অনেক বার আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করে। কিন্তু এক সময়ে এই সাধারন মেয়েটি হয়ে উঠে নির্যাতনকারীদের ভয়ের কারন।
এই নিয়েই আমাদের আজকের সিরিজ রিভিউ।
দ্যি গ্লোরি ( সিজন ১) :
গল্পটি মুন নামের এক মেয়েকে ঘিরে। গল্পের শুরুতে দেখানো হয় কোরিয়ার সামইয়ুং শহরে মুন তার বাড়ির ছাদ থেকে সামনের বাড়িতে তাকিয়ে আছে এবং মুন তার এপার্টমেন্ট এ একটি মাস্টারপ্ল্যান সাজিয়ে রাখে। মুনের সারা গায়ে ক্ষতের চিহ্ন দেখা যায়।
তখন সেখানে ইউজিন নামের একটি মেয়ে আসে। ইউজিন মুনের দেয়ালে নিজের ছবি দেখে অবাক হয়। ঠিক তখন ই মুন তাকে স্ট্যাপলার দিয়ে আঘাত করে এবং বলে স্কুলের মত সে আর শান্ত নেই।
গল্প তখন ২০০৪ সাল অর্থ্যাৎ তাদের স্কুলে চলে যায়।
সেখানে দেখা যায় ইউজিন, মিয়ন হু, জেজন,সারা এবং হিউ জিয়ং নামের ৫ জনে মুন কে অনেক টর্চার করে। মুন পুলিশ স্টেশন এ কম্পলেইন করতে গেলে সেখানে তার শিক্ষক তাকে উলটো বকে এবং অন্য দের ছাড়িয়ে আনে।
এরপর তারা আবার মুন কে টর্চার করে। তখন সে পুলিশ এর কাছে না গিয়ে নার্স এর কাছে যায়।
সে ৫ জন ছিলো বড়লোক এবং মুন ছিলো গরিব। তারা মুনের বাসায় এসে আবার মুন কে টর্চার করে কিন্তু এখন আর সে নার্সের কাছে গিয়ে আর তাকে পায় নি।কারন মুনের চিকিৎসা করায় সে নার্স কে সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়েছিলো।
এরপর মুন স্কুল ছাড়তে চায়। স্কুল ছাড়ার কারণ হিসেবে সে ইউজিন কে দায়ী করে। এতে স্যার তাকে ছাড়পত্র দেয় না এবং অনেক মারে। এদিকে ইউজিন এর মা মুনের মা কে টাকা দেয়। মুনের মা ওকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর মুন নিজে কাজ করে এবং অন্য স্কুল থেকে পড়াশুনা শেষ করে।
এর মধ্যে দৃশ্য বর্তমানে চলে আসে। মুন ইউজিন এর মেয়ের সাথে দেখা করে এবং ইউজিনের সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে। মূলত মুন এগুলো ইউজিন এর মেয়ে ইউসিল কে বলছিলো।
পরবর্তী দৃশ্যে দেখা যায় সারা একজন পেইন্টার, হিউ জিয়ং এয়ার হোস্টেস এবং জেজন বাবার টাকায় চলতো। আর মিয়ন হু জেজনের কাজ করে। ইউজিন এর বিয়ে হয়।কিন্তু জেজনের সাথে ইউজিন এর সম্পর্ক ছিলো।বিয়ে থেকে ফেরার সময় মুন অজ্ঞান হয়ে যায় এবং হাসপাতালে তার সাথে ইউজিং নামের একটা ছেলের সাথে দেখা হয়। ইউজিং তাকে প্রথম দেখায় পছন্দ করে। পরবর্তীতে মুনকে সে গো গেম নামে গেম শেখায়।মুন মিয়ন হুর সাথে দেখা করে এবং তাকে জেজনের বিপক্ষে কথা বলার চেষ্টা করে।
মুন ইউজিন এর বাড়ির ডাস্টবিন থেকে কাগজ নেয়ার সময় তার বাড়ির কাজের লোক তাকে দেখে ফেলে এবং মুন কে সে তার সাথে কাজ করতে বলে। বিনিময়ে ঐ কাজের লোক মুন কে তার স্বামী কে মারার কথা বলে কারন তার স্বামী মহিলা কে এবং তার মেয়েকে অনেক টর্চার করতো।এরপর কাজের মহিলা টি মুন কে সবার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে দেয়।
জেজন ছিলো কালার ব্লাইন্ড।
এরপরে ইউজিন এর স্বামী ডো ইয়ং এর সাথে মুন গো গেম খেলে।মুন এতোটাই ভালো খেলে যে ডো ইয়ং অবাক হয়ে যায়।মুন তখন তার স্কুলের ঐ স্যার এর সাথে দেখা করতে যায় এবং স্যার এর ছেলের সামনে আগের সব বলে এবং ঐ রাতেই ছেলে তার বাবাকে মেরে ফেলে।
এদিকে হিউ জিয়ং দেশে ফিরে আসে।
আবার ইউজিং মুনের সাথে দেখা করে এবং বলে সে সবসময় মুনের পাশে থাকতে চায়।
পরের দৃশ্যে মিয়ন হু এর সাথে দেখা করে সে সুহির মৃত্যুর কথা বলে। মূলত সুহি কেও একসময় ওরা বুলিং করতো এবং কেউ তাকে মেরে ফেলে।এটি শুনে মিয়ন হু অনেক অবাক হয় এবং জানতে চায় কে মেরেছে। মুন তাকে কানে কানে বলে।পরের দিন মিয়ন হু বাদে বাকি ৪ জন ইউসিল এর স্কুলে দেখা করতে যায় এবং সেখানে মুনকে দেখে অবাক হয়। মূলত মুন স্কুলের ডিরেক্টর কে ব্ল্যাকমেইল করে সে স্কুলে টিচারের চাকরি নেয়।এবং ইউজিন খুব চিন্তায় পড়ে যায় শুনে যে ইউসিল এর ক্লাস টিচার মুন।
এরপর মুন মিয়ন হুর সাথে দেখা করে সুহির লাশের খোঁজ দেয় এবং এটাও জানায় জেজন এবং ইউজিনের মেয়ে ইউসিল এবং ইউসিল ও জেজনের মতো কালার ব্লাইন্ড।মিয়ন হু সুহির লাশ দেখতে গেলেও সেখানে তাকে লাশ দেখানো হয় না এবং সে ভাবে সে সুহির হত্যাকারী কে লাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে।
এরপরে মুন কে স্কুল থেকে বের করার জন্যে ইউজিন ডিরেক্টর এর সাথে কথা বলে এবং ব্যার্থ হয়। এতে ইউজিন এর ভয় বেড়ে যায়।এরপর এক এক করে মুন সবাইকে হুমকি দিতে থাকে এবং সফল ও হয়।
সবাই মুনের ভয়ে থাকে।এরপর ডো ইয়ং ইউজিনকে সন্দেহ করতে থাকে জেজনের সাথে সম্পর্কের জন্য। জেজন ও জেনে যায় যে ইউসিল তার মেয়ে।এর মাঝেই হঠাৎ করেই মিয়ন হু নিখোঁজ হয়ে যায় এবং মিয়ন হু কে ইউজিন-ই মেরেছে মুন এটা ভাবতেই থাকে।
এরপরে ডো ইয়ং হিউ জিয়ন এর সাথে দেখা করে সব জানে যে কিভাবে তারা মুন কে টর্চার করতো।এরপরেই দেখা যায় মুন ঐ কাজের মহিলার মেয়েকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে।তবে মুন কিভাবে সবাইকে শাস্তি দেয় সেটি সিজন ১ এ দেখা যায় নি।
তাদের কি করুণ পরিণতি হয় সেটি জানতে আমাদের সিজন ২ এর জন্যে অপেক্ষা করতে হবে।এরকম উত্তেজনা মূলক সিরিজের পরবর্তী পার্ট সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
To read more blogs click here.
Writer,
Marjahan Akter
Intern, Content Writing Department
YSSE