গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে “Speak to win: Elevate your presentation skill”। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল BYSDO: Bangladesh Youth Skills Development Organization। নির্দ্বিধায় বলা যায় অনুষ্ঠানটি প্রেজেন্টেশন দক্ষতা কে সমৃদ্ধ করেছে। এভাবেই BYSDO কাজ করে যাচ্ছে তরুণ সমাজ এবং জীবন এর প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষতাগুলোকে সমৃদ্ধ করে সফলতা লাভের পথ সহজ করার জন্য।
Bangladesh Youth Skills Development Organization সংক্ষেপে BYSDO প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৩০মে, ২০২১ সালে। বাংলাদেশের একটি ছাত্র ভিত্তিক যুব ক্ষমতায়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিকারী সংস্থা যা যুবদের কল্যাণে এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। চমৎকার এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ জালাল উদ্দীন সামি এর সাথে একটি ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল।
YSSE: প্রথমেই আপনার সম্পর্কে জানতে চাইছি। আপনার জন্ম, পড়াশোনা, বেড়ে উঠা, বর্তমানে কী কাজ করছেন ইত্যাদি।
মো: জালাল উদ্দীন সামি বর্তমানে অধ্যয়নরত আছে বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর রসায়ন বিভাগ , তৃতীয় বর্ষ। তার সাথে কথা বলতে গিয়ে আগ্রহ বাড়লো এরকম তরুণ বয়সে একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে পরিচালনা করছেন তা নিয়ে। আমাদের সামনে তিনি তুলে ধরেছিলেন BYSDO এর কার্যক্রম সম্পর্কে। জেনে খুবই ভালো লাগলো যে তার প্রতিষ্ঠান এর মূল লক্ষ্য তরুণ সমাজ এর উন্নয়ন। কম বেশি আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে তরুণ সমাজ এর উন্নয়ন এর জন্য দক্ষ হওয়া কতটা প্রয়োজন এবং আজকের সমাজে দক্ষ হওয়ার জন্য অথবা দক্ষতা অর্জন করার জন্য খসাতে হয় অনেক টাকা। এক্ষেত্রে BYSDO সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন স্কিল নিয়ে কোর্স করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
YSSE : আপনার প্রতিষ্ঠান ”BYSDO” সম্পর্কে জানতে চাইছি এবং এরকম একটি প্রতিষ্ঠান এর সূচনা কিভাবে হয়েছিলো?
এরকম একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করার ভূমিকা না জানলে কিন্তু হয় না। খুবই অবাক লাগলো শুনে যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের এর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী একটি সংগঠন চালু করেছিলেন। এদিকে অনেকেই যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এর প্রথম বর্ষে নিজেকে মানিয়ে নিতেই হিমশিম খাচ্ছে। ২০২১ সালে যখন BYSDO চালু হয়েছিলো তখন করোনা মহামারী চলমান, সেই সময়েই নিজের অবসর এ অনেক প্রতিষ্ঠান এ কাজ করা শুরু করেছিলেন এবং উপলব্ধি করতে পারেন যে বিভিন্ন কোর্স বিনামূল্যে প্রদান করা যায় আর এই লক্ষ্য মাত্রা নিয়েই BYSDO এর যাত্রা।
YSSE: আপনার প্রতিষ্ঠান শুরু করার অনুপ্রেরণা কি ছিলো ?
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এর নিজের সংগঠনের পিছনের অনুপ্রেরণার কথা জানা অনবদ্য। জানা গেল, একটি দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এ থাকাকালীন দেশের প্রতি তার দায়িত্ববোধের উপলব্ধি থেকেই তার অনুপ্রেরণা জন্মায় এবং তিনি উল্লেখ করেন তরুণদের নিয়ে কাজ করাটাই উত্তম। তার ও আগে বিজ্ঞান ভিত্তিক কার্যকলাপ শুরু করেছিলেন তবে তরুণদের নিয়ে কাজ করাটাকেই উনি বেশি প্রাধান্য দেয় ।
YSSE: আজকে “BYSDO ” তার লক্ষ্য পৌঁছাতে পেরেছে কিন্তু এর পেছনে প্রতিবন্ধকতাগুলো কি ছিলো ? এবং সাপোর্টসিস্টেম হিসেবে কাদের কথা উল্লেখ করতে চান?
আজকে BYSDO তার লক্ষ্য পৌঁছাতে পারলেও এই পর্যন্ত আসতে অনেক প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়েছে। এই প্রতিবন্ধকতাগুলো পার করতে সার্পোটসিস্টেম এর কথা উল্লেখ করতেই হয়। লাভানা পারভিন, নাবিলা খায়ের, প্রতীতি প্রভা, মুশফিদা রহমান যাদের সাথে যাত্রা শুরু হয়েছিলো BYSDO। যে মানুষটি BYSDO এর সাথে শুরু থেকে ছিলেন উনি হলেন সৈকত মজুমদার, সাজমিন রহমান, রাশেদুল ইসলাম। তবে হ্যাঁ, প্রথমে যতই কষ্ট হোক পরবর্তীতে নিজস্ব এক্সিকিউটিভদের নিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে BYSDO।
YSSE: কোন বিষয়টি আপনার প্রতিষ্ঠান কে অন্যতম করে তোলে ?
উল্লেখ্য, যুব সমাজ কে নিয়ে কাজ করা এবং যারা কাজ শিখতে চায় তাদেরকে কাজ শিখানো BYSDO কে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করে। একজন প্রধান হওয়া স্বত্তেও নিজেদের প্রতিষ্ঠান এর সকলের সমস্যা সমাধান করা এবং সকলকে নিয়ে যেকোন কাজ করে যাওয়াটাই BYSDO এবং মোঃ সামি এর লক্ষ্য। এটা বলাই যায়, আজ BYSDO অনেকটাই সফল। খুবই সাবলীল ভাষায় নিজেদের দেশ এবং নিজের দেশের তরুণদের নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যটাও নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করে যায় আমাদের মাঝে।
YSSE: কোন জিনিসটাকে আপনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন? এবং কিভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান এর কাজ চালিয়ে যাওয়া হয় ?
একজন শিক্ষার্থী এর জন্য পড়াশোনা এবং তার পাশাপাশি একটা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা মোটেও চারটি খানি কথা না। আমাদের অতিথি নিজেও এ কথার সাথে সহমত পোষণ করেন এবং আরো জানান, এ প্রতিষ্ঠান এর পাশাপাশি আরো কিছু প্রতিষ্ঠান এর সাথে উনি যুক্ত। পারস্পারিকতা বা একে অপরকে কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা তার কাজ বা পুরো প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে অনেক সহজ করে তুলেছে। মো: সামি বারবার উল্লেখ করেন পড়াশোনা এর পাশাপাশি স্কিলটাকে উন্নয়ন করতে হবে।
YSSE: “BYSDO” এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আমাদের অতিথি জানালেন ইন্টার্নশীপ, বিভিন্ন ওর্য়াকশপ এর আয়োজনের পাশাপাশি এক্সিকিউটিভদের জন্য পোর্টফোলিও তৈরি এবং বিভিন্ন কোর্স এর সুবিধা প্রদান করতে চলেছে BYSDO.
YSSE: বর্তমান এ শিক্ষার্থীদের কি কি পরামর্শ দিতে চান?
অবশেষে আজকের তরুণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপদেশমূলক কথায় বললেন , বাংলাদেশ এর উন্নয়ন এ তরুণদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আজকের পৃথিবী তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক তো তাই দেশ , তরুণ এবং যেসব দক্ষতা না জানলেই নয় সেসব দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। তাই পড়াশোনা কে প্রধানে রেখে পড়াশোনা এর পাশাপাশি নিজের উন্নয়ন ঘটিয়ে নিজের এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা যাবে।
আমাদের “Heroes by our side” ক্যাম্পেইনের সাফল্যের গল্প এর পরবর্তী ব্লগ পড়তে, YSSE website এবং Facebook blog page এর সাথেই থাকুন।
আরো ব্লগ পড়তে, ক্লিক করুন এখানে
Writer,
Atika Afia Broty
Intern, Content Writing Department
YSSE