So, so what?
I’m still a rock star
I got my rock moves
And I don’t need you
And guess what?
I’m having more fun
And now that we’re done
I’m gonna show you tonight
I’m alright
I’m just fine
And you’re a tool
So, so what?
I am a rock star
I got my rock moves
And I don’t want you tonight
Uh, check my flow, uh
The waiter just took my table
And gave it to Jessica Simps, shit
I guess I’ll go sit with drum boy
At least he’ll know how to hit (Oops)
What if this song’s on the radio?
Then somebody’s gonna die
ফুল ভলিউমে গান বাজছে। এর মাঝে ডোরবেল বেজে উঠল।
প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলল আইরিন। দরজায় একজন মধ্য বয়সী এশিয়ান মহিলা দাড়িয়ে।
তাকে দেখেই বলে উঠল I’m your neighbor, I came here yesterday.
আইরিন বুঝল, এই মহিলা তার সাথে আগ বাড়িয়ে পরিচিত হতে এসেছে এবং এই মহিলা যে বাঙালি তা ওনার কথার টানেই বোঝা যাচ্ছে। আইরিন ভদ্রভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করে, ব্যস্ততার ভান করে দ্রুত ওই মহিলাকে তাড়ালো। ওই মহিলা অবশ্য বুঝতেই পারেন নি যে আইরিনও বাঙালি তাহলে হয়ত এত সহজে বিদায় দেয়া যেত না।
এই দেশে আসার পর প্রথম প্রথম সে ঠিকমত কথার উচ্চারণ পারত না, যদিও ওকে সরাসরি দেখলে যে কেউ নিঃসন্দেহে আমেরিকান বলত।
এখন সে আমেরিকানদের ভাষা পুরোপুরিই রপ্ত করে নিয়েছে যে না বললে কেউ বুঝতেই পারে না যে সে একজন এশিয়ান।
ছোট থেকেই সে অনিন্দ্য সুন্দরী, গায়ের রঙ ফর্সা, উচ্চতায়ও সাধারণ বাঙালি মেয়েদের তুলনায় অনেক লম্বা।
এরকম ভাবে কেউ তার ডোরে নক করায় আইরিন অবশ্য বিরক্ত হয়েছিল, সে সাথে অবাকও। সে এই এলাকায় আছে প্রায় দুই বছর,কোনদিন এই ভাবে কাউকে যেচে পড়ে পরিচিত হওয়ার জন্য আসতে দেখে নি।
অবশ্য টেক্সাসের এই সুন্দর, মনোরম, নিরিবিলি এলাকা সে নিজেই পছন্দ করেছে।
এতদিন বোধহয় বাঙালি কেউ এই এলাকাতে আসেনি। অবশ্য এই এলাকাটা বুনো,আর তেমন একটা বেশি বাড়িঘর নেই তাই এই এলাকায় সবাই থাকতে চায় না যদি না নেহাত কেউ ঠেকায় না পড়ে।
যাই হোক তাকে বেশি বিরক্ত না করলেই হলো, মনে মনে ভাবে আইরিন। এসব ভাবতে ভাবতেই এক কাপ কফি নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে বসে সে। সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। টেক্সাসের আকাশে আজ বিশাল বড় চাঁদ উঠেছে।
এসব দেখতে দেখতে আইরিনের মনে পরে যে অনেক কাজ জমা আছে। সে দ্রুত উঠে পড়ে স্টাডিতে গিয়ে বসে।
সকাল ৮:০০ টা আইরিন তার কর্মস্থলে পৌছাল। সে টেক্সাসের হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ব্লাড স্প্যাটার হিসেবেই পরিচিত।মোটামুটি সব ধরনের কেসের ক্ষেত্রেই তার সাহায্য লাগে।
আজকের একটা ক্রাইম সিনেও তার ডাক পড়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে জেনির সাথে দেখা। জেনি কম বয়সী,হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল একজন আইরিশ। সে আইরিনকে আসতে দেখেই বলে উঠল, আরে তুমি এখানে?
কেন? কি হয়েছে?
এখানে কোন ব্লাডই নেই ।
হোয়াট?
হুম, খুব অদ্ভুত। তুমি চাইলে দেখতে পারো।
আইরিন দেখল লাশের সারা শরীর ফ্যাকাশে হয়ে আছে। ভালোমত দেখে বুঝল লাশের শরীরে কোনো রক্ত নেই।
অফিসে ফিরে লাঞ্চের পর মর্গে গিয়ে ম্যাক্সের সাথে দেখা করল। ম্যাক্স লাশ পোস্টমর্টেম আর অটোপসি রিপোর্ট ব্যাখ্যা করল তার কাছে।
মৃত্যুর কারণ রক্তশূন্যতা, কেউ লাশের শরীর থেকে সব রক্ত নিখুঁতভাবে বের করে নিয়েছে।
তবে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল লাশের শরীরে ডেভিলস ব্রেথ নামক ড্রাগ পাওয়া গিয়েছে।
এই ড্রাগ অনেক কেসেই পাওয়া গেছে যেমন:চুরি, ছিনতাই, রেপ, খুন।
তবে এমন অদ্ভুত খুনের ঘটনায় এই ড্রাগের কথা শুনে আইরিন কিছুটা অবাক হল।
তদন্ত অফিসার মর্গ্যান ভিক্টিমের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, ভিক্টিম (লিসা) কয়েক বছর ধরেই একা বাস করছে। সেই সাথে সে নাকি কালো জাদু, ভুডু এসব চর্চা করত।
সবাই ধারনা করছে কোন সাধক হয়ত তার সাধনার কাজের জন্য লিসাকে ব্যবহার করেছে।
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে কফি খেতে খেতে আবার কেসটা নিয়ে চিন্তা করে আইরিন।
পিশাচ বা শয়তান সাধনা নিয়ে সে মোটামুটি যা জানে তাতে তার মনে হয় না কেউ নেহাতই সাধনার উদ্দেশ্যে এই খুন করেছে।আবার প্রতিশোধমূলক খুনও মনে হচ্ছে না।
কারণ তার ক্যারিয়ারে সে রিভেন্জ আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে অনেককে খুন হতে দেখেছে, তাদের কারোর লাশের অবস্থাই দেখার মতো ছিল না। কারন রাগ আর হিংসায় খুন হওয়া লাশে প্রচুর আঘাত আর রক্তপাতের চিহ্ন পাওয়া যায় যা এই লাশের সাথে বেমানান।
আইরিন নিজেই তার ল্যাপটপ নিয়ে বসে এ ব্যাপারে ঘাটাঘাটি করার জন্য।
অবশ্য জ্যাকের সাহায্য ছাড়া সে কোনদিনও হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের কম্পিউটারে একসেস নিতে পারত না। জ্যাক সুদর্শন, বুদ্ধিমান মানুষ। সে একই সাথে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের একজন চৌকস ডিটেকটিভ অফিসার ও ডিজিটাল ফরেন্সিক এক্সপার্ট।
তার দেয়া তথ্যগুলোতে চোখ বুলাতে বুলাতেই হঠাৎ করে এক জায়গাতে চোখ আটকে গেল আইরিনের….
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
লেখক
Kulsuma Bahar Bethi
ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
YSSE