সিয়াম বা রোজা শব্দের অর্থ আত্মশুদ্ধি বা সংযম বা বিরত থাকা।অর্থাত,সূর্যাস্ত থেকে শুরু করে সূর্যোদয় পর্যন্ত পানাহার বা বিভিন্ন পাপাচার থেকে বিরত থাকার নাম হলো সিয়াম বা রোজা। সিয়াম বা রোজা ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে একটি। ইসলামে এক বছরে একটি মাস রমজান নামে পরিচিত। সূরা বাকারা ১৮৪ নং আয়াতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, “সে আল্লাহ যার কাছে রমজান মাসে পৌঁছে আসে এবং যে কেউ সেখানে উপস্থিত হয় সে নির্বোধ হয় না এবং সে পুরো মাসের সময় নির্দিষ্ট জন্য কাজ করে এবং একটি সুন্দর কাজের জন্য জোর করে চেষ্টা করে।”
রমজানে যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয় এর ফলে ধৈর্য্যের পরীক্ষা ও দেয়া হয়ে যায় অনেকটা যা শরীর ও মন উভয়কে তার প্রতিকূল সময় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।কিন্তু অনেক সময় শরীর ও মন সায় দিলেও অসুস্থতার জন্য তা হয়ে ওঠে না,রমজানে এর মূল কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস।সময়মতো খাদ্যগ্রহণ না করলে ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ না করলে রোজার সময়ে তা শরীরে নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।যা প্রথমে অল্প সমস্যায় দেখালেও ভবিষ্যতে মারাত্মক রুপে আকার নিতে পারে।
রমজানে সাধারণত মানুষ যে সকল সমস্যার মুখোমুখি হয় তা হলোঃ
১।গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা,
২।বদহজম বা হজমের সমস্যা,
৩।ডায়রিয়া ,
৪।শরীর কষা হওয়া অথবা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হওয়া,
৫।উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হওয়া।
এসব সমস্যা থেকে রক্ষার উপায় হলো রমজান মাসে স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা।এসব সমস্যা থেকেবাচার জন্য সিয়াম সাধনার মাসে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে,সেগুলো হলোঃ
১। সেহরি খাবারে প্রধানতঃ প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপস্থাপন করার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় হাল্কা খাবার করা।
২। সেহরি ও ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। খাদ্য উপস্থাপনের সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা হলে ত্বক, শরীর এবং শ্বসনমণ্ডলী সুস্থ থাকে।
৩। ইফতারে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার না খেয়ে দরুন খেতে হলে হালকা খাবার করা উচিত। সমস্ত উপস্থাপনে আপনার পাকানো খাবার থাকা উচিত।
৪। রোজাদার দের জন্য বেশি আলিংগীন, মসলা এবং তীক্ষ্ণ খাবার খেতে উচিত না। এছাড়াও তেল এবং চিনির ব্যবহারকাল একটু কম করা উচিত।
৫। রোজাদারদের জন্য শারীরিক কাজ করা উচিত না।
এগুলোর পূর্বে রয়েছে রমজানে রোজাদারের জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন করা।যেমনঃ
১।সুষম খাদ্য (ডিম,দুধ,কলা,বাদাম,ছোলা )গ্রহণ করা।
২।শাকসব্জি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা।
৩।পর্যাপ্ত শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা, কারণ দেহের সারাদিনের ঘাটতি পূরনে শর্করা জাতীয় খাদ্য মূল ভূমিকা রাখে।
৪। সেহরি খাবারে প্রধানতঃ সুস্বাদু এবং সম্পূর্ণতা থাকা উচিত। প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপস্থাপন করার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় হাল্কা খাবার খাওয়া
৫। ইফতারে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার না খেয়ে দরুন খেতে হলে হালকা খাবার করা উচিত। সমস্ত উপস্থাপনে আপনার পাকানো খাবার থাকা উচিত।
৬। রোজাদার দের জন্য বেশি আলিংগীন, মসলা এবং তীক্ষ্ণ খাবার খাওয়া উচিত নয় না। এছাড়াও তেল এবং চিনির ব্যবহারকাল একটু কম করা উচিত।
৭। রোজাদারদের জন্য শারীরিক ভারী কাজ করা উচিত নয়।
রমজান মাসে মূলত খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হলে সুস্থতার সাথে রোজা পালন করা সম্ভব।
To get more content, click here.
Writer,
Md. Mashfiqur Rahman
Content Writing Department
YSSE