ফাইবার (Fiverr) হলো এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।
যেমন ধরুন, আপনি অনেক ভালো লোগো কিংবা ওয়েব ডিজাইন করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, ফাইবার (Fiverr) এর মাধ্যমে বিভিন্ন লোগো কিংবা ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ গুলো করে, ঘরে বসেই উপার্জন করতে পারেন।ফাইবারে হাজার হাজার রকমের কাজ খুঁজে সেগুলো করে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফাইভার (Fiverr) হলো এমন এক অনলাইন মার্কেটপ্লেস (Marketplace) বা ওয়েবসাইট, যেখানে কিছু টাকা দিয়ে যেকোনো কাজ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার দের দিয়ে করানো যেতে পারে। যদি আপনার কাছে কিছু বিশেষ দক্ষতা (Skills) বা জ্ঞান (Knowledge) আছে, তাহলে একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হিসেবে ফাইবার ওয়েবসাইটটি এক অনন্য সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। আপনি ফাইবারের রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে কাজ পেতে পারেন ও সে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
ফাইভার থেকে টাকা আয় করার প্রক্রিয়া (step):
- আপনি কোন কাজটি অনেক ভালো করে করতে পারবেন সেটা নিয়ে ভাবুন। উদাহরণস্বরূপে, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি।
- নিজের একটি ফাইবার সেলার একাউন্ট ( Fibre seller account) তৈরি করুন।
- একাউন্ট তৈরি করার পর, নিজের প্রোফাইল সেটিংস এ গিয়ে নিজের প্রোফাইল পিকচার, কাজের বিষয়, নিজস্ব দক্ষতা ও পূর্ব অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সেট করুন।
- আপনার নিজের একটি ফাইবার গিগ (Fiverr gig) তৈরি করতে হবে। Gig হলো সেই কাজটি যেটা আপনি বিক্রি করে ফাইবার থেকে আয় করতে চাচ্ছেন।
- আপনি কি কাজ করতে পারবেন, কাজটি করার বিনিময়ে কত টাকা নিবেন এবং কত সময়ের ভেতরে কাজটি করতে পারবেন, সবটাই ফাইবার গিই ( Fiver gig ) তৈরি করার সময় দিয়ে দিতে হবে।
- যখন কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি বা ক্লায়েন্ট আপনাকে ফাইভারে পাবলিশ করা আপনার গিগ (Gig) অনুযায়ী কাজ দিবে, তখন সেগুলো আপনার করতে হবে।
- সফলভাবে কাজটি সময়মতো সম্পন্ন করতে পারলে, ও ক্লায়েন্ট দের জমা দিতে পারলে, সেই কাজের বিনিময়ে আপনি ফাইভার থেকে টাকা পেয়ে যাবেন।
- মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ক্লায়েন্টের অর্ডারের সাথে সাথেই ফাইবার ধারা উক্ত ক্লাইন্ট থেকে কাজের পরিমাণযোগ্য অর্থ নিয়ে নেওয়া হয়। তাই, আপনি কাজটি সঠিক ভাবে করার পর, টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা থেকে যায়।
Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়?
ফাইভার এর মাধ্যমে কি কি কাজ পাওয়া যাবে, এই প্রশ্নের উত্তর সোজা ভাবে দেওয়া যাবেনা। কারণ, এখানে বিভিন্ন লোকেরা হাজার হাজার রকমের কাজ করানোর উদ্দেশ্যে আসে এবং freelancer বা seller দের খুজেঁ।
তাই, কেও হয়তো সাধারণ একটি লোগো তৈরির কাজ করানোর ক্ষেত্রে ফাইভারে আসতে পারে আবার কেই হয়তো একটি android app development এর মতো advanced কাজ করানোর উদ্দেশ্যে ফাইভার মার্কেটপ্লেস এ আসতে পারে।
তাছাড়া, fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কে তালিকা করাও মুশকিল কারণ হাজার হাজার রকমের কাজ আপনি ফাইবারে পেয়ে যাবেন।
Web designing এর কাজ
Logo designing এর কাজ
Android app developer
আর্টিকেল লেখা ও তৈরি করার কাজ
ভিডিও এডিটিং এর কাজ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ
SEO optimization এর কাজ
WordPress website optimization
Online shopping website তৈরির কাজ
Graphic designing
WordPress speed optimization
এবং আরো অনেক ধরণের কাজ আপনারা fiverr এর মাধ্যমে ঘরে বসেই পাবেন। Fiverr এ যেকোনো কাজ করানোর জন্য আপনার মিনিমাম $5 থেকে টাকা দিতে লাগতে পারে।
কিন্তু যখনফ্রিল্যান্সাররা ক্লাইন্টের দেওয়া কোনো নির্দিষ্ট কাজ সফলভাবে সম্পূর্ন করে জমা দিতে পারে তবে, ফাইবারের মাধ্যমে তাদের পাওনা টাকা পেয়ে যাবে।এভাবে, যে কাজটি একজন ফ্রিল্যান্সার দ্বারা করাতে চাচ্ছিলো, সে কাজটি করিয়ে নিলো এবং ফ্রীলান্সাররা কাজটি করে ঘরে বসে টাকা টাকা আয় করে নিলো।
আর, এই সম্পূর্ণ platform বা marketplace এর সুবিধা দেওয়ার বিপরীতে, fiverr প্রত্যেক service purchase এর ওপরে $2 আলাদা ভাবে নিয়ে নিবে।
আজকে আমরা fiverr সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কিছু জেনে নিলাম। আজকে আমরা জানলাম, fiverr কিভাবে কাজ করে, কিভাবে ফাইভার থেকে টাকা আয় করবেন, এ কি কি কাজ পাওয়া যাবে এবং আসলে এই ফাইবার প্লাটফর্মটি টি কি।
আমি আশা করছি, আজকের এই লেখাটি পড়ে আপনারা ফাইবার(fiverr) সম্পর্কে এর বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।
শেষে এতটুকু বলব, আজকের এই আধুনিক সময়ে যদি আপনার এমন কিছু বিশেষ দক্ষতা বা জ্ঞান থাকে যেটা অন্যের কাজে আসতে পারে, তাহলে টাকা আয় করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে, “fiverr” এর মতো online marketplace অনেকেই ব্যবহার করছেন এবং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
লেখিকা
ফারিহা আলিফ
ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
YSSE