কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাকে সংক্ষেপে বলা হয় এআই। বর্তমান প্রযুক্তির এক আশ্চর্য উপহার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এটির মাধ্যমে অনেক অবাস্তব বাস্তব হয়ে উঠছে। বিজ্ঞানের এক অন্যতম আবিষ্কার হচ্ছে এআই। এর মাধ্যমে সকল অসম্ভব কাজকে সম্ভব করা যাচ্ছে এক নিমিষেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের লেখালিখি থেকে শুরু করে অফিসের সব কাজ সবই করে দিচ্ছে আনায়াসে। বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর এআই এর মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যা অনেকটা সহজ করে দিচ্ছে মানুষের জীবনকে। কিন্তু এর কিছু আশ্চর্য আবিষ্কার থাকলেও রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিক, “সবকিছুর উত্তর শুধু এআই বের করে দেয় তাহলে মানুষ কি করবে?” সবার মনে এক প্রশ্ন জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। প্রথমত কারন হচ্ছে বেকারত্ব বেড়েছে। মানুষ সব কাজ এআইকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে যার ফলে ছাঁটাই করে ফেলছে কর্মচারীদেরকে যা একটি অন্যতম খারাপ দিক।
ইতিমধ্যে এক অভাবনীয় কাজ করে ফেলছেন বিজ্ঞানীরা, তৈরি করা হচ্ছে বায়োকম্পিউটার। যার সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই কম্পিউটার হবে এক অবাক আশ্চর্যজনক আবিষ্কার
বিজ্ঞানীদের দাবি। প্রযুক্তিতে আসবে যুগান্তর।
যে বিজ্ঞানীদল এই অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করছেন, তাঁদের নেতৃত্বে আছেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ফেং গুয়ো। তাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কম্পিউটার হার্ডঅয়্যার প্রস্তুত করছেন।
নতুন ধরনের এই কম্পিউটিং হার্ডঅয়্যারের অনুপ্রেরণা মানুষের মস্তিষ্ক। ফলে এতে মানুষের বুদ্ধির প্রয়োগ দেখা যেতে পারে। যে বুদ্ধি পৃথিবীর অন্য সকল জীবজন্তু থেকে মানুষকে আলাদা করে রেখেছে।
অধ্যাপক ফেং গুয়ো নেচার ইলেকট্রনিক্স পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার যা কিছু সীমাবদ্ধতা এখনও পর্যন্ত রয়েছে, বায়োকম্পিউটারে সেগুলিকেও অতিক্রম করে ফেলা যাবে।
বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলেছেন, এই অত্যধনিক প্রযুক্তি সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হবে, প্রয়োজন অনুযায়ী তারা নিজেদের বিভিন্ন জায়গায় বদলিয়ে নিতে পারেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অতীতে অনেক অসাধ্য কে সাধন করেছে, তবে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মিশিয়ে দেওয়ার কাজ আগে কখনও হয়নি।
প্রাথমিক ভাবে এই প্রযুক্তি নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। বায়োকম্পিউটার তৈরি হয়ে গেলে অসীম সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হতে পারে বিজ্ঞানের জগতে। সেই সম্ভাবনার আশায় এখন তাঁরা দিন গুনতে শুরু করেছেন।
Jannatul Ferdous Mim
Intern at content writing department, YSSE